আবদুর রহমান খান


দীর্ঘ পাঁচ শত বছর ধরে দোদন্ড প্রতাপশালী অটোমান সাম্রাজ্যের কেন্দ্রস্থল তুরস্ককে ঘিরে নতুন এক যুদ্ধের ঘূর্ণাবর্ত দেখা দিয়েছে ইয়োরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে।

ইতোমধ্যেই তুরস্ককে নয়া-আটোমানবাদী শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে ফেলেছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকগন। ন্যাটো জোটের সদস্য হওয় সত্তেও ইউরোপীয় দেশগুলির কাছে তুরস্ক মুমলিম দেশ। খৃষ্টান ক্লাব ন্যাটোতে তাই সে অপাঙক্তেয়।

ইউরোপীয় দেশ গ্রীসের সাথে অনেক বছর ধরেই তুরস্কের বিবাদ চলে আসছে । প্রতিবেশী দু’দেশের দক্ষিনে অবস্থিত ভুমধ্য সাগরে তেল-গ্যাস আহরণ নিয়ে এ বিবাদ এখন চরম পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। গ্রীস যুদ্ধের ভাষায় কথা বলছে। কোন রকম পিছু হটতে রাজী নয় তুরস্ক । উত্তেজনাকর পরিস্থিতি যে কোন মূহুর্তে একটা পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের রূপ নিতে পারে।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশ তুরস্কের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে সৌদি আরব, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। ইসরাইলের সাথে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন এবং গ্রীসের সাথে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়ে আমিরাত প্রকাশ্যেই তুরস্কের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে গেছে।

তুরস্ক আর ইরান এ চুক্তিকে মুসলমানদের বিশেষ করে প্যালেস্টানের বিরুদ্ধে আমিরাতের বিশ্বাসঘাতকতা বলে ঘোষনা করেছে। ভূমধ্য সাগরীয় অপর একটি দেশ লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে তুরস্ক আর মিশর পরস্পর বিরাধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে চুক্তি সই হবার পর ইসরাইলও প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে দিয়েছে গ্রীসকে।

এরকম জটিলতার মধ্যে মূলত তুরস্কের ইসরাইল বিরোধী ভূমিকার কারনে দারুন নাখোষ আমেরিকা। সম্প্রতি তুরস্ক মিসাইল কেনা জন্য রাশিয়ার সাথে চুক্তি করার পর আমেরিকা থেকে তুরস্কের যুদ্ধ বিমান কেনার চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে ট্রাম প্রশাসন। বিপরীত দিকে ফ্রান্স যুদ্ধ জাহাজ আর যুদ্ধ বিমান পাঠিয়ে গ্রীসের পক্ষে শক্তি যোগান দিচ্ছে।

তুরস্ককে ঘিরে ময়দানে নেমে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বেশ কয়েটি যুদ্ধবাজ দেশ ও বৃহত শক্তি আমেরিকা। এদিকে রয়েছে আঞ্চলিক শক্তি ইরান ও রাশিয়।

পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিশ্লেষকদের কেউ কেউ ১৯১৪ সালের প্রথম মহাযুদ্ধের প্রসংগ টেনে এনেছেন। তখন বাজার দখল আর সম্পদ লুটের লোভে ইউরোগের শক্তিশালি দেশগুলি

নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। তুরস্ককে লড়তে হয়েছিল ইউরোপিয় শক্তির বিরদ্ধে। আর সে যুদ্ধেই ভেঙ্গে পড়েছিল আটোমান সাম্রাজ্য।

সেদিন কেউই যুদ্ধ চায় নি। চেয়েছিল নিজ নিজ দেশর স্বার্থ রক্ষা করতে। তাতেই মহাযুদ্ধ বেধে গিয়েছিল।

আজকেও দুই শত্রু শক্তিতে বিভক্ত ইউরোপ। তুরস্ক আর গ্রিস নিজ নিজ দেশের স্বার্থেই কথা বলছে। উরোপীয় শক্তির বিপক্ষে যুদ্দের প্রস্তুতি নিচ্ছে তুরস্ক। টান টান উত্তেজনায় উদ্বিগ্ন বিশ্ববাসী।

ভুমধ্য সাগরীয় স্বার্থ

এবারের ঘটনার সূত্রপাত ভুমধ্য সাগরের তলদেশের তেল ও গ্যাসের ভাগ নিয়ে। বছরখানেক আগে ভূমধ্য সাগরের উত্তর তীরের দেশ তুরস্ক দক্ষিন তীরের লিবিয়ায় ত্রিপোলির সরকারর সাথে চুক্তি করেছে সাগরের তলায় তেল-গ্যাস আনুসন্ধানের জন্য। সম্প্রতি তুরস্ক ভুমধ্য সাগরে তাদের অনুসন্ধান জাহাজ এবং সাথে পাহারাদার নৌবাহীনীর জাহাজ নিযুক্ত করেছে। গ্রীস বাগড়া দিয়ে বসেছে । গ্রীসের দাবী সাগরে তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ঢুকে তুরস্ক এ অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এরই মধ্যে গত মাসেই ভূমধ্য সাগরীয় আর একটি দেশ মিসরের সাথে এইরকম চুক্তি করেছে গ্রীস। স্বার্থের সংঘাত এখন প্রকাশ্য মহড়ায় রূপ নিয়েছে।

গত জুন মাসে লিবিয়াগামী এটি সন্দেহজনক চোরাই অস্ত্রবাহী জাহাজকে ভুমধ্য সাগরে তাড়া করে একটি ফরাসী ফ্রিগেট । সেখানে অবস্থানরত তুরস্কের নৌবাহিনীর জাহাজের সাথে একটা সংঘর্ষ প্রায় ঘটে যাচ্ছিল। তুরষ্কের যুদ্ধ জাহাজ থেকে তিন তিন বার রাডার বার্তা পাঠিয়ে ফরাসী ফ্রিগেডকে টার্গেট করার হুশিয়ারী দেয়া হয়। ফ্রান্স এ ঘটনাকে “চরম আগ্রাসী” বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ফ্রান্স দাবী করেছে, তাদের জাহাজ সেখানে অস্ত্র চালান রোধের কাজে নিযুক্ত ছিল। “অপারেশন সী গার্ডিয়ান” নামের ন্যাটোর কর্মসূচীর আওতায় ইউরোপীয় কমান্ডের অধীনে পূর্ব ভূমধ্য সাগরে মোতায়েন ছিল ফরাসী ফ্রিগেড করবেট। এ ঘটনার পর পরপরই ফ্রান্স সে এলাকায় পূর্ব নির্ধারিত ন্যাটোর এটি মহড়ায় তুরষ্কের সাথে অংশ না নেবার কথা ঘোষনা করে।

মাস খানেক পর গ্রীক যুদ্ধ জাহজের সাথে তুরষ্কের যুদ্ধ জাহাজের আর এটি সঘর্ষের ঘটনা ঘটে চরম উত্তেজনার সুষ্টি হয়। এ অবস্থায় ফ্রান্স যুদ্ধ জাহাজ ও যুদ্ধ বিমান পাঠায় ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চলে গ্রীসের সমর্থনে ।

ওদিকে আগষ্টে ভূমধ্য সাগরিয় বন্দর বৈরুতে ভয়াবহ রাসায়নিক বিষ্ফোরণ ঘটে যায়। সে সূযোগে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাকরণ বৈরুতাসীকে সহানুভুতি দেখানোর নামে সফর করতে গিয়ে বিমান থেকে ভুমধ্যসাগরের সম্ভাব্য যুদ্ধ ক্ষেত্র পরিদর্শন করে এসেছেন। মার্কিন প্রশাসন সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে তাদের উপস্থিতি কিছুটা শিথিল করার পর ফ্রান্স সেখানে তার পুরাতন উপনিবেশগুলির উপর খবরদারী করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

তুরস্কের প্রসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট রজব তায়িপ এরদোয়ান এ কথাই সম্প্রতি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, ফ্রাষ্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন এবং আরো কেউ কেউ ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে তাদের পুরাতন উপনিবেশিক স্বার্থ ‌চাঙ্গা করতে চায় ।

ওদিকে, সিরিয়ায় মার্কিন ও সৌদি সমর্থন পুষ্ট আই এস নামের সশস্ত্র জঙ্গী সংগঠনের তৎপরতা দমনে ইরানের সাথে যুক্ত হয়েছে তুরস্ক। ইরাক লিবিয়া ও সিরিয়ায় পশ্চিমা স্বার্থের পথে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে ন্যাটো চুক্তিভৃক্ত তুরস্ক।

লিবিয়ায় বিদ্রোহী হাফতার বাহিনীকে সহায়তা করছে মিসর। বিপরিত দিকে, সেই হাফতারবাহিনীকে দমনের কাজে সৈন্য আর অস্ত্র পাঠিয়ে ত্রিপোলি সরকারকে সহায়তা করছে তুরস্ক। ফরাসীরা সমর্থন দিচ্ছে জেনারেল হাফতারকে।

মধ্যপ্রাচ্যে এরকম বহুজাতিক স্বার্থের সংঘাত থেকে একটি বহুজাতিক যুদ্ধের দাবানল সৃষ্টি হতে পারে বলে আশংকা করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। উদ্বিগ্ন জার্মানী তাই এগিয়ে এসেছে মধ্যস্ততার প্রস্তাব নিয়ে। কিন্তু সারা মেলেনি।

এ অবস্থার মধ্যে গ্রীস, ইটালী , ফ্রান্স ও সাইপ্রাস তাদের যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে উসকাননীমুল যৌথ মহড়া চালিয়েছে তুরষকের দক্ষিনে ভূমধ্য সাকরের পূর্ব আংশে । গত ২৬ থেকে ২৮ আগষ্ট এ মগড়র অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, গ্রীস ও প্রতিবেশী তুরস্ক পূর্বে চারচারবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। ১৯১৯-২২ সালের গ্রীকে্া-তার্কো যুদ্ধের মধ্য দিয়ৈ অটোমান সাম্রজ্য ভেংগে জন্ম নিয়েছিল গ্রীস ও তুরস্ক দুটি আলাদা দেশ। সেবার তুরস্ক ছেড়ে গ্রীসে আসতে হয়েছে গোড়া খৃষ্টানদের আর গ্রীস ছেড়ে তুরস্কে মোহাজের হতে হয়েছিল মুসলমানদের । উভয় পক্ষের বিশ লক্ষ মানুষকে সেদিন উদ্বাস্তু হয়ে নিজ জন্মভূমি ছাড়তে হয়েছিল।

বৃহত মুসলিম সাম্রাজ্যের আকাংখা

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর অটোমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। পতন ঘটে ৬০০ বছরের ওসমানীয় সাম্রাজ্যের। একই সাথে মুসলিম বিশ্ব থেকে বিলুপ্তি ঘটে খিলাফত ব্যবস্থার। খণ্ডবিখণ্ড হয়ে পড়ে তুরস্ক। খণ্ডিত তুরুস্কের মূল ভূখণ্ড নিয়ে মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক-এর নেতৃত্বে জন্ম নেয় আধুনিক তুরস্ক।

বর্তমানকালে তুরস্ক একটি সাংবিধানিক ধর্মনিরপেক্ষ দেশ যার কোন রাষ্ট্রধর্ম নেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তুরস্কের ৯৬.৫ শতাংশ লোক ইসলাম ধর্মাবলম্বী ০.৩ শতাংশ খ্রিস্টান ও ৩.২ শতাংশ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।

এশিয়া ইউরোপের সঙ্গগমস্থলে অবস্থিত তুরষ্কের বতর্মান প্রেসিডেন্ট রজব তায়িপ এরদোয়ান হলেন দেশের ১২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত তার দল একে পার্টি পরপর ৪ বার সাংসদীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন রয়েছে।

সম্প্রতি ইস্তানবুলের হাজিয়া সোফিয়া নামের প্রাচীন গির্জাকে পুনর্বার মসজিদে রূপান্তর করে বিশ্বের মুসলিম ও খৃষ্টান উভয় সম্পদায়ের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ণ সৃষ্টি করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তবে এটাকে অটোমানিয়ান দখলদারিত্ব বলে নিন্দা করেছে মার্কিন মিত্র মিসর।

বাইজেনটাইন শাসনামলে ৫৩৭ খৃষ্টাব্দে আমলে কনসটানটিপোলে (আজকের ইস্তানবুল) নির্মিত হয় রোমান ক্যাথলিক খৃষ্টাদের চার্চ হাজিয়া সোফিয়া ( ল্যাটিন অর্থ-পবিত্র জ্ঞান) । পরবর্তীতে মুসলমানদের দ্বারা কনস্টানটিপোল বিজিত হলে ১৪৫৩ র্খষ্টাব্দের ২৯ মে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় ও খুতবা পাঠের মাধ্যমে অটোমান সুলতান মেহমেদ এটিকে সমজিদে রূপান্তরিত করেন।

দীর্ঘ পাঁচ শ’ বছর পরে আধুনিক তুরস্কের জনক বলে পরিচিত মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক ১৯৩৪ সালে এটিকে যাদুঘরে পরিনত করেন ।

গত জুন মাসে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান নিজেই পবিত্র কু’রানের আয়াত পাঠ করে আনুষ্ঠানিকভাবে হাজিয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদে রূপান্তর করেন । এ সময় গ্রীসের সমালোচনার জবাবে এরদোয়ান বলেছেন, অটোমানদের যুগে এথেন্সে নির্মিত কোন মসজিদের চিহ্ন আজ নেই। সব মসজিদ গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা তেমনটি করিনি।

প্রডিডেন্ট এরতদোয়ান নিজেকে মুসলিম উম্মার নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। মুসলিম অনুভৃতি ব্যবহার করে তুরস্ক মুসলিম বিশ্বের তার মার্যাদা বাড়িয়ে নিচ্ছে বলে সৌদি আরবও চিন্তিত।

সৌদি সংশ্লিষ্টতা 

গত কয়েকবছর ধরে সৌদি আরবের সাথে তুরষ্কের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। কারন পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের তেল সমৃদ্ধ দেশ কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি আরব সহ চারটি প্রতিবেশী মুসলিম দেশের যৌথ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাতারের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে তুরস্ক। কাতার এ অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের অস্ত্র সরবরাহ করছে এমন অজুহাতে এবং ইরানের সাথে কাতারের সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবে ২০১৭ সালের ৫ জুন সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিশর একযোগে এ নিষেজ্ঞা ঘোষনা করে স্থল, নৌ ও বিমান পথে কাতারের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বাহরাইন। আসল বিরোধ শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় যখন বিভিন্ন আরব দেশের আন্দোলন আর অভ্যুত্থানে পরস্পর বিপরীত পক্ষে আবস্থান নিয়েছিল কাতার ও সৌদি আরব। আর ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের আক্রমনকেও বিরোধীতা করছে কাতার, ইরান ও তুরস্ক।

গত বছর তুরস্কে রাজধনী ইস্তানবুলে সৌদি দূতাবাসের অভ্যন্তরে সাংবাদিক জামাল খাশোগীর খুন হবার পর দু;দেশের সম্পর্কের ফাটল আরো বৃদ্ধি পায়।

সম্প্রতি সৌদি শিক্ষামন্ত্রনালয় ইতিহাসের পাঠ্য বইয়ে অটোমানদের দ্বারা তাদের দেশ পরাস্থ করার বিবরন সংশোধন করে নিয়েছে। অটোমান শাসকদেরকে দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করে তারা নতুন প্রজন্মের জন্য নতুন ইতিহাস রচনা করেছে ।

ইতিহাস সংশোধনের অংশ হিসেবে সম্প্রতি সৌদি আরবে রাজধানী রিয়াদের একটি প্রাচীন সড়কের নাম বদলে দেয়া হয়েছে। অটোমান সম্রাট সুলতান সোলায়মানের নামে নামকরনকৃত এ সড়কটির নাম পরিবর্তনের পেছনে সৌদি্-তুর্কী সম্পর্কের অবনতিকে চিহ্নিত করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধমে।

উপসংহার

ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে স্বার্থর টানাপোড়ন; গ্রীকের সাথে যুদ্ধাবস্থা; রাশিয়া ও ইরানের সাথে ঘনিষ্টতা; সৌদি আরব সহ কয়েকটি মুসলিম দেশের সাথে সংঘাত; লিবিয়া, সিরিয়া ও প্যালেষ্টাইনের ব্যাপারে তুরষ্কের দৃঢ় অবস্থান- সব মিলিয়ে একটা ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়েছে তুরস্ককে ঘিরে। চলছে হুমকি-পাল্টা হুমকি। এখন দেখার অপেক্ষা কে আগে গোলাটা ছোড়ে। তারপর কোথাকার তেল জল কিভাবে ঘোলা হয় ।