ইমাম খাইরঃ
সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি প্রদীপ কুমার দাশকে জেরা করতে কারাগারে গিয়েছেন ঘটনা তদন্তে গঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটি।

বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে কমিটির ৪ সদস্য কারাগারে প্রবেশ করেন।

সকাল সোয়া ১১ টায় রিপোর্ট লিখাকালে প্রদীপের জেরা চলছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারা সুপার মোঃ মোজাম্মেল হোসেন।

এছাড়া পুলিশের মামলার তিন সাক্ষীকে আদালতে তোলা হয়েছে।

কক্সবাজার সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে তাদের ১৬৪ ধারায় জবাবনবন্দি নেয়া হচ্ছে।

তারা হলেন- টেকনাফের মারিশবুনিয়ার মোঃ নুরুল আমিন, মোঃ নিজাম উদ্দিন ও মোঃ আইয়াছ।

এর আগে একই আদালত দ্বিতীয় দফায় আসামিদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রথম দফায় সাত দিনের রিমান্ড হয়েছিলো পুলিশের করা মাদক মামলার সাক্ষীদের।

এদিকে, টানা চারবারে ১৫ দিনের রিমান্ডেও তদন্ত কাজে সহায়ক হয় এমন তথ্য দেয় নি সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
আইন অনুযায়ী ১৫ দিনের বেশি রিমান্ড চাওয়ারও সুযোগ নেই।

তাই মঙ্গলবার প্রদীপ কুমার দাশকে চতুর্থ দফায় ১ দিনের রিমান্ড শেষে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ-৩) আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক তামান্না ফারাহ আর কোন জবানবন্দি বা রিমান্ড দেন নি। তাই তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তবে, বরাবরই আলোচিত এই পুলিশ কর্মকর্তা নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
তিনি মারিশবুনিয়ার একটি পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ফিরছিলেন।

খুনের ঘটনায় গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার আসামি ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়।

সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে ১১ আগস্ট গ্রেফতার করে মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব।

এছাড়া হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও তিন এপিবিএন সদস্যকে গ্রেফতার করে এলিট ফোর্সটি।

একই ঘটনায় টেকনাফ থানায় দুইটি ও রামু থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। সাক্ষী অপহরণের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় পরে আরেকটি মামলা হয়। মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ১৩ জন।

সিনহা খুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫টি মামলা হয়েছে।