রাসেদুল ইসলাম মাহমুদ:
কক্সবাজারের উখিয়া পালংখালীতে এনজিওর প্রতারণা ও রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী  কর্মকান্ড বন্ধ , স্থানীয়দের চাকুরিতে অগ্রাধিকার ও শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে নিরাপদ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে মানববন্ধন করেছে অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি ।

মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর), সকাল ৯টায় পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী স্টেশন প্রাঙ্গনে অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ মানববন্ধনে সংগঠনের সদস্যসহ হাজারো সাধারণ মানুষের ঢল নামে।

রিদুয়ানুল আজিজের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী,পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা এম.এ মঞ্জুর, ছাত্রনেতা আনোয়ারুল হোসাইন, এডঃ আব্দুল মালেক, অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ইঞ্জিয়ার রবিউল হাসানসহ অনেকে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্যাতনের মুখে পালিয়া আসা উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করে আসছে।

বিপুল জনসংখ্যার চাপে স্থানীয় জনগৌষ্ঠীর স্বাভাবিক জীবন যাত্রাও কর্মসংস্থানের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।

খুব অল্প সময়ের মধ্যে স্রোতের মত আসা রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় জনসাধারণের জীবন নানা দিক থেকে  ক্ষতিগ্রস্থ।

এদের চাপে কৃষি জমি,বন,সার্বিক নিরাপত্তা, শ্রমবাজার এবং শিক্ষাসহ স্থানীয় মানুষের জীবন নানা দিক থেকে চরম ক্ষতিগ্রস্ত।

স্থানীয় শ্রমবাজারে রোহিঙ্গারা সস্তায় কাজ করার কারণে স্থানীয়দের আর কাজ জুটছে না । এরকম নানা সমস্যায় স্থানীয়দের মধ্যে বাড়ছে তিক্ততা।

মানববন্ধনে অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি ৭ দফা দাবি উল্লেখ করেন –

(১) ইউএন ( জাতিসংঘ) অর্গনাইজেশন বা এনজিওগুলো তাদের বাজেটের ৩০ শতাংশ স্থানীয়দের উন্নয়নে ব্যয় করার যে ঘোষণা দিয়েছে সেই অনুযায়ী কাজের সঠিক বাস্তবায়ন এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

(২)সরকারের নির্দেশনা অনুসারে রোহিঙ্গা প্রোগ্রামে এনজিওর চাকুরিতে স্থানীয় জনগণের যে ৭০% কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ নং পালংখালী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য তা নিশ্চিত করতে হবে।

(৩) নিয়োগ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি মনিটরিং সেল করতে হবে।

(৪) মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গাদের উৎসাহিত করতে এনজিওদের বিশেষ কর্মসূচি নিতে হবে।

(৫) স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কোটায় অথবা আওতাধীন করে তার ম্যাপ/ সীমানা নির্দিষ্ট করতে হবে।

(৬) এনজিওতে চাকরির জন্য প্রতিটি অফিসে সরাসরি আবেদন গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে।

(৭) ইউনিয়নের স্থানীয় জনসাধারণের জন্য আধুনিক মানের হাসপাতাল নির্মাণ করতে হবে এবং ইমার্জেন্সি রোগীর জন্য ২৪ ঘণ্টা ফ্রি এম্বুলেন্স সার্ভিসের ব্যবস্থা করতে হবে।

মানববন্ধন শেষে পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম.গফুর উদ্দিন চৌধুরী ৭ দফা দাবিকে সমর্থন করে বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে আমার ইউনিয়নের সর্বক্ষেত্রের জনসাধারণ বিভিন্ন দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ও প্রতারিত হয়েছে বিভিন্ন এনজিও থেকেও। ৭ দফা দাবি মেনে নেয়া হোক।