ফারুক আহমদ , উখিয়া :

টেকসই বন ও জীবিকায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সবুজ অরণ্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এটি বাস্তবায়ন হলে পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি এতদঞ্চলের বন নির্ভরশীল বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠী স্বনির্ভর হওয়ার বিরাট সুযোগ পাবে।
চট্টগ্রাম বিভাগের বন সংরক্ষক আব্দুল আওয়াল সরকার উখিয়ার সমুদ্র উপকূলীয় ইনানী রেঞ্জের দ্রুত বর্ধনশীল মিশ্র প্রজাতির বনায়নের কার্যক্রম পরিদর্শন কালে তিনি আরো বলেন, অংশীদারিত্ব মূলক সামাজিক বনায়ন একটি সফল কর্মসূচি হিসাবে এর সুফল উপকারভোগী সদস্যরা ভোগ করতেছে। অনেকেই আত্মনির্ভরশীল হয়েছে। তাই সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বনায়ন কে পরিচর্যা ও বনজ সম্পদ কে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
গত শনিবার উখিয়ার ইনানী রেঞ্জের জালিয়াপালং বনবিটের সোনাইছড়ি এবং ইনানী ও ছোয়ানখালী সহ বিভিন্ন এলাকায় নতুন সৃজিত বনায়ন কার্যাক্রম পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির, সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা ইব্রাহিম হোসেন ও জালিয়াপালং বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরজু মিয়া।
ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহিম হোসেন জানান চলতি অর্থবছরে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক এডিবির অর্থায়ন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের অধীনে ইনানীতে ৩৮০ হেক্টর নতুন বনায়ন সৃজন করা হচ্ছে। সমুদ্রের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও ভাঙ্গন প্রতিরোধে চর এলাকায় ঝাউ গাছের চারা রোপন করাও বনায়ন কার্যক্রমে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে জানা গেছে টেকসই বন ও জীবিকায়ন প্রকল্পের আওতায় দ্রুত বর্ধনশীল মিশ্র প্রজাতির বনায়নে চিকরাশি, গামার, আকাশমনি, করই, শিমুল, বহেরা অর্জুন সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সারা রোপণ করা হচ্ছে।
রাজাপালং বিট কর্মকর্তা আমির হোসেন গজনবী জানান এবারের বনায়নে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী দুইটি প্রকল্প রয়েছে।