মোহাম্মদ ইরফান উদ্দিন


আমরা অনেকেই জানিনা বিনোদনের আড়ালে ধ্বংস হচ্ছে কত লক্ষ কোটি মেধা। বিশেষ করে কিশোর কিশোরী এবং বেকার সময় কাটানো যুবকরা। বেশির ভাগ অশিক্ষিত ও বেকার হলে এসবের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ে তারা।

কিছু সিনেমা এই জেনারেশন কে কতটা ক্ষতি করছে  তা যদি দেখানো যেতো – তাহলে বোঝাতে পারতাম আরেক ভয়ংকর মহামারি এটা।

যেমন :

এমন কিছু সিনেমা আছে

যা থেকে আবেগী কিশোর কিশোরীরা বেয়াদবীকে স্টাইল মনে করে বেয়াদবী শিখে।

এমন কিছু সিনেমা আছে
যেখান থেকে কিশোর যুবরা সন্ত্রাসী করাকে স্টাইল মনে করে- তা নিজে হতে চেষ্টা করে।

এমন কিছু সিনেমা আছে
মেয়ে বিরক্ত করতে জানার সিস্টেম শেখায়। ছেলেমেয়েদের কুরুচিপূর্ণ মেলামেশা ও একাধিক জনের সাথে মিথ্যা চলনাময় প্রেম ভালবাসা করা শেখায়। আস্তে আস্তে সেটা তার জীবন ধ্বংস ডেকে আনে।

এমন কিছু সিনেমা আছে
হিংস্র হতে শেখায়, জীবনে অসম্ভব রিস্ক নিতে উৎসাহ দেয়।

এমন কিছু সিনেমা আছে
আবেগী মনটাকে অন্ধ করে সহজ ব্যাপার করে দেয়। আত্মহত্যা করতে শেখায়।

এমন কিছু সিনেমা আছে
যা পিতামাতার চেয়ে প্রেমিক প্রেমিকাকে প্রাধান্য দেয় । বেপরোয়া প্রেম শেখায়।

এমন কিছু সিনেমা আছে
সমাজে বেপোরায়ো হতে শেখায়। নিজেকে ভয়ংকর রুপে প্রতিষ্টিত করতে শেখায় ।

তবে এমন কিছু সিনেমা আছে
দেশপ্রেমিক হতে উৎসাহ যোগায়।ভাল কাজ করতে উৎসাহ যোগায় ।  যা গ্রহণযোগ্য। তবে তা হাতেগোনা।

এরকম হাজার হাজার সিনেমা নাটক পৃথিবীতে তৈরি হয়েছে। তৈরি হচ্ছে।
যদিও সব বিনোদনের জন্য। কিন্তু শতকরা কত ভাগ কিশোর যুবক এটাকে সমাজ শুধূ বিনোদন হিসেবে নেয়!

যদি এই বিষয়টা জরিপ করে দেখানো যেতো- আমার মনে হয় এতে অভিভাবক মহল চমকে যাবে। কারণ বেশির ভাগই বিনোদন ব্পাযক্শাতি জীবনে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে । তাদের চরিত্র হনন করতে থাকে এসব সিনেমা।

যে দেশে প্রতিটা বিষয়ে কিশোর যুব সমাজের মনন ও মেধাকে উন্নত পরিবেশে সুরক্ষিত রাখা যায়- সে দেশের ভবিষ্যৎ দ্রুত উজ্জল হবে বলে আমার মনে হয়।

তাই আমি বাংলাদেশের অতি সাধারণ একজন নাগরিক হয়ে আমাদের অভিভাবক মহলকে এই বিষয়ে আরো সচেতন হওয়ার সবিনয় আবেদন জানাই। এই বিষয়ে আমার দেশ আরো কিছু ভাবুক। সিনেমা গল্প গুলো যেন এদিক টাও বিবেচনায় রেখে কাজ করে।


লেখক: বি.এস.এস (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) অধ্যয়নরত ,কক্সবাজার সিটি কলেজ।