বিনোদন ডেস্ক : ‘পপ কিং’ মাইকেল জ্যাকসন ছিলেন একাধারে সঙ্গীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী এবং সমাজসেবক। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে সর্বকালের সবচেয়ে সফল শিল্পী তিনি। আজ শনিবার (২৯ আগস্ট) কিংবদন্তি এই সঙ্গীতশিল্পীর জন্মদিন। জো জ্যাকসন ও ক্যাথেরিন জ্যাকসন দম্পতির সপ্তম সন্তান মাইকেল ১৯৫৮ সালের এইদিনে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা রাজ্যের গ্যারি নামের এক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

২০০৯ সালে তার মৃত্যুর পর থেকে প্রতিবছর আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে সপ্তাহব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জ্যাকসনের জন্মদিনের উৎসব উদযাপন করা হয়। এবারও নানা আয়োজনে প্রিয় তারকাকে স্মরণ করছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অগণিত ভক্ত।

মাইকেলের পুরো নাম মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন। পাঁচ ভাই ও তিন বোন, সবাই কোনো না কোনো সময় পেশাগতভাবে সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিশেষ করে ছোট বোন জ্যানেট জ্যাকসন একজন সফল সঙ্গীতশিল্পী। জ্যাকসন পরিবারের ৭ম সন্তান মাইকেল মাত্র পাঁচ বছর বয়সে ১৯৬৩ সালে পেশাদার সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি তখন জ্যাকসন ফাইভ নামের সঙ্গীত গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে গান গাইতেন।

১৯৭১ সাল থেকে মাইকেল একক শিল্পী হিসেবে গান গাইতে শুরু করেন। মাইকেলের গাওয়া পাঁচটি সঙ্গীত অ্যালবাম বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রিত রেকডের্র মধ্যে রয়েছে। সেগুলো হল- অফ দ্য ওয়াল (১৯৭৯), থ্রিলার (১৯৮২), ব্যাড (১৯৮৭), ডেঞ্জারাস (১৯৯১) এবং হিস্টরি (১৯৯৫)। মাইকেলকে পপ সঙ্গীতের রাজা বলা হয়। মৃত্যুর পর সংগীতের ইতিহাসে জনপ্রিয়তার হিসাব-নিকাশ অনেকটাই বদলে দিয়েছেন মাইকেল জ্যাকসন; গড়েছেন নিত্যনতুন সব রেকর্ড।

২০০৯ সালের ২৫ জুন পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যাওয়ার পর সে বছর সর্বাধিক বিক্রীত অ্যালবামের শিল্পী হিসেবে আবির্ভূত হন জ্যাকসন। মৃত্যুর এক বছরের মাথায় কেবল আমেরিকাতেই তার অ্যালবাম বিক্রি হয় ৮.২ মিলিয়ন কপি; আর বিশ্বজুড়ে বিক্রি হয় ৩৫ মিলিয়ন। মৃত্যুর পর গান ডাউনলোডের ইতিহাসেও রেকর্ড গড়েন ‘পপ কিং’। মাত্র এক সপ্তাহে পয়সা খরচ করে জ্যাকসনের ১০ লাখ গান ডাউনলোড করে তার ভক্তরা।

২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ২৫ জুন মাইকেল জ্যাকসন মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয় তারই ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. কনরাড মারেকে এবং সে কারণে তাকে চার বছরের জন্য কারাদণ্ড দেয়া হয়।