নিজস্ব প্রতিবেদক:
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদকে এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতের পিস্তল দিয়ে গুলি করে ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী। সেই গুলিতেই সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। জবানবন্দির সত্যতা যাচাইয়ে ঐ অস্ত্র পরীক্ষা করবে র‌্যাব। তাই শনিবার (২২ আগস্ট) পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্রটি বুঝে নেবে তারা।

এদিকে, সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেফতার তিন এপিবিএন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে প্রদীপসহ তিন আসামির মুখোমুখি করা হবে এপিবিএনের তিনজনকে।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার হত্যা তদন্তে বড় ধরনের অগ্রগতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। মূলত দুটি অগ্রগতির খবর পাওয়া গিয়েছে। এরমধ্যে প্রথমটি হল সিনহার ওপর যে অস্ত্র দিয়ে গুলি করা হয়েছে সেটা কার? তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই মামলার অন্যতম আসামি এবং পুলিশের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নন্দ দুলাল দাবি করেছেন ইনস্পেক্টর লিয়াকত তার অস্ত্রটি নিয়ে সিনহার ওপর ৪টি গুলি করেছেন। লিয়াকত তার নিজের অস্ত্র দিয়ে গুলি করেন নি।

তবে নিয়ম অনুযায়ী যার জন্য অস্ত্র বরাদ্দ তিনি সেটা দিয়ে গুলি করতে পারেন। এই ব্যতয়টি ৩১ জুলাই পুলিশের অভিযানে হয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি খাইরুল ইসলাম পুলিশ লাইন্সে এসেছিলেন। সেই অস্ত্রটি এরইমধ্যে সংগ্রহ করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি খাইরুল ইসলাম।

এএসপি খাইরুল ইসলাম বলেন, আমাদের উদ্দেশ্যই একটাই, আমরা যেসব তথ্য পাচ্ছি সেগুলো মিলিয়ে সঠিক তথ্য প্রমাণ খুঁজে দিতে পারি।

এছাড়া আরেকটি অগ্রগতি হচ্ছে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনায় কারাগারে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে র‌্যাব হেফাজতে সাত দিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়েছে। র‍্যাবকে তারা যে তথ্য দিয়েছে তা সত্য কিনা জানার জন্যই তাদের আজ মুখোমুখি করা হবে।