নিজস্ব প্রতিবেদক:
উখিয়ার হলদিয়া পালং রুমখা পুরাতন বৌদ্ধ বিহার থেকে ক্রয়কৃত লাকড়ী নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বেপরোয়া হামলায় শিশু পুত্র ও পিতা গুরুতর আহত হয়েছে।
আহতরা হলো- ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত সারঙ্গ বড়ুয়ার ছেলে সুমন্ত বড়ুয়া (৪৫) ও তার ১১ বছর বয়সী শিশু সন্তান দীপ্ত বড়ুয়া। সুমন্ত বড়ুয়া বর্তমানে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার মাথা, বুক, পিট ও কোমরে মারাত্মক জখম হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত সুমন্ত বড়ুয়ার স্ত্রী রিকু বড়ুয়া বাদি হয়ে ১৩ আগস্ট উখিয়া থানায় মামলা করেছেন। যার মামলা নং-১৭/৩৭৩।
মামলায় সুনির্দিষ্ট ৩ জনকে আসামী করা হয়েছে।
তারা হলেন- রুমখা পশ্চিম বড়ুয়া পাড়ার মৃত নিরঞ্জন বড়ুয়ার ছেলে দীনবন্ধু বড়ুয়া (৫৮), দীনবন্ধু বড়ুয়ার ছেলে সজীব বড়ুয়া (৩০) ও মৃত গুরাধর বড়ুয়ার ছেলে সুমন্ত বড়ুয়া (৪৫)। উখিয়া থানার এসআই ছিম্পু বড়ুয়াকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ওসি মর্জিনা আকতার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাদি রিকু বড়ুয়া এজাহারে দাবী করেন, গত ৮ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রুমখা পুরাতন বৌদ্ধ বিহার থেকে ক্রয়কৃত লাকড়ী বাড়ি নিচ্ছিলেন। এ সময় দীনবন্ধু বড়ুয়া ও সজীব বড়ুয়াসহ ৩/৪জন মিলে গালিগালাজ করতে থাকে। প্রতিবাদ করলে তারা উত্তেজিত হয়ে কোদাল, লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। হত্যার উদ্দেশ্যে হামলায় তারা মারাত্মক রক্তাক্ত হয়।
সুমন্ত বড়ুয়ার পকেটে থাকা ব্যবসার ৪৫ হাজার টাকা ও নিজের গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার সময় মামলার বাদি রিকু বড়ুয়াকে বিবস্ত্র ও শ্লিলতাহানির মতো আচরণ করেছে বলেও অভিযোগ আনা হয়।