সংবাদদাতা:

চকরিয়া উপজেলার বদরখালীতে কৃষকলীগ নেতার উপর হামলা মামলার আসামীরা এখনো অধরা, পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে আর মামলা তুলে নিতে বাদীকে নানা ভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাতডালিয়া পাড়ার আব্দু রহিম চিশতীর পুত্র ইউনিয়ন কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ও মৎস্যজীবীলীগের সভাপতি কৃষক মনজুর আলম কে জমির বিরোধ নিয়ে গত ২৭ জুলাই সকাল ৮.৩০ টার সময় একই এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের পুত্র মাষ্টার শফিকুল আলমের নির্দেশে তাহার পুত্র ছরওয়ার কামাল লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে তাহাকে গুরুতর আহত করে। মনজুর আলম জানান ঘটনাকারীরা তাহার কাছ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা,মোবাইল সেট ও প্রযোজনীয় কাগজ পত্র লুটকরে নিয়ে যায়, এঘটনায় আহত মন্জুর আলম বাদী হয়ে ছরওয়ার কামাল ও আহছান হাবিব সাগরকে আসামী করে চকরিয়া থানায় ০৭/৩৪২ নং মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার আসামী বীরদর্পে বদরখালী বাজার ও এলাকায় ঘুরাফেরা করছে। রহস্যজনক কারনে গ্রেপ্তার হচ্ছে না বলে অভিমত পোষন করেন ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা।
মামলার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই জাকিরকে একাধিকবার আসামীর উপস্থিতির সংবাদ দেওয়া হলেও আসামী গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ার সুযোগে আরো দুঃসাহসিক হয়ে আসামীগণ উল্টো দম্ভোক্তি দিয়ে হুমকি দিচ্ছে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য। অন্যথায় বাদী মনজুর আলম ও তার পরিবারের অপরাপর সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী কিংবা হামলা চালিয়ে আরো বড় ধরনের ঘটনা সংঘটিত করার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বাদী মন্জুর আলম। এমতাবস্থায় বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটানোর ভয়ে বাদী ও বাদীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ক্ষতিগ্রস্থ বাদী মনজুর আলম ও তাহার পরিবারের সদস্যরা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।

এবিষয়ে বদরখালীর ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুল বশর জানান তিনি ব্যক্তিগত পারিবারিক কারণে একটা মামলা হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে একজন সহকারী দিয়ে কোন রকম কাজ চালালেও একটু পরিষদের কার্যক্রমে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান।

এ বিষয়ে জানতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ জাকির হোসেন সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আসামীকে ধরার জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত আছে। অতি শীঘ্রই আসামীকে আইনের আওয়াতায় আনা হবে।