লিখবো নাকি শিখবো ?

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২০ ১১:১৭ , আপডেট: ১৭ আগস্ট, ২০২০ ১১:১৮

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


ফাইল ছবি


মুহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন কাদের


ছেলের চিঠি পড়ে বাবার মন ব্যথায় ছেয়ে গেল। চিঠিতে সম্মানসূচক কোনো সম্বোধন নেই!
চিঠিতে→ মুমূর্ষু, মুহূর্ত, মনঃকষ্ট, অতিথি, উজ্জ্বল ইত্যাদি বানান ভুল। স্বভাবতই, বাবার মনে
প্রশ্ন জাগে ছেলে A+ পেল কীভাবে ?
মুহূর্তে বাবার মনে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার দীনতার / দৈন্যের কথা স্মরণ হলো।
আমার মনে হলো,
আজকাল বানানের ব্যাপারে অধিকাংশ শিক্ষার্থী’ই অমনোযোগী। বানান শুদ্ধ করে লেখার ব্যাপারে তাঁরা তো সচেষ্ট নয়ই, বরং অবস্থা দেখে মনে হয় তাঁরা যেন ভুল করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
এটা অবশ্যই লজ্জার ব্যাপার। ভাষার শিক্ষা অনেকাংশে বানানের মাধ্যমেই সাধিত হয়।
মাঝে মধ্যে মনে হয়,
দেশে বানান ভুলের মহড়া চলছে।
দুরাবস্থা এমনই যে রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়েও ঔদাসীন্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। কেউ ইংরেজি বানানে দুর্বল হলে আমরা তাঁকে ইংরেজিতে দক্ষ মনে করি না, অথচ বাংলা বানান না জানাটাই যেন স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে, উপলব্ধি করুন কি অবস্থা দেশের ??? ইংরেজি হোক, বাংলা হোক
শুদ্ধ বানানে লিখতে পারা ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক। অতএব,বানান শিক্ষা ও শুদ্ধ বানানে লিখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পরিশেষে বলবো, বিদ্যান মূর্খ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর। জীবনে সার্থকতা লাভ করতে হলে
পাঠে মনোযোগী হতে হবে।
দুরবস্থা আকাঙ্ক্ষার অন্তরায়।
দীনতা প্রশংসনীয় নয়।
এটি খুবই লজ্জাজনক অধ্যায়।
বিশ্বে বাংলাভাষাভাষীর সংখ্যা প্রায় ২৫ কোটি। ভাষা আন্দোলন চলাকালে
বাংলার প্রতিপক্ষ ছিল উর্দু।
হয়তো, আগামীতে বাংলার প্রতিপক্ষ হবে হিন্দি।

 


শিক্ষক (বিজ্ঞান বিভাগ) ,কক্সবাজার কলেজিয়েট স্কুল।