ডেস্ক নিউজ:
মুসলমানদের প্রধান দুই ধর্মীয় স্থাপনা মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববির পরিচালনা কমিটির ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে প্রথমবারের মতো দশজন নারীকে নিয়োগ দিয়েছে সৌদি আরব। হারামাইন পরিচালনা কমিটির প্রধান শেখ ড. আব্দুল রহমান আল সুদাইস এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন। খবর আল আরাবিয়্যাহর।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের কাজের মাত্রা বাড়াতে এবং যোগ্য জাতীয় ক্যাডারে বিনিয়োগ করার প্রয়াসে নারী কর্মকর্তাদের নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন আল সুদাইস। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বস্থানে নারীর ক্ষমতায়ন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। উন্নয়ন এবং অর্থনীতিতে এর প্রভাব প্রতিফলিত হবে।

সৌদি সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম এসপিএতে বলা হয়েছে, পবিত্র দুই মসজিদের কার্যক্রমে কমিটিতে নিয়োগ পাওয়া নারীদের অংশগ্রহণ থাকবে। সেসব কার্যক্রম নির্দেশিকা প্রণয়ন, নির্দেশ, প্রকৌশলী, প্রশাসনিক বা তদারকি পরিষেবা যাই হোক না কেন।

পবিত্র কাবা শরিফের কিং আব্দুল আজিজ কমপ্লেক্সের উপ-প্রধান আব্দুল হামিদ আল-মালিকি বলেন, গ্র্যান্ড মসজিদে আসা মানুষদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই নারী। তাই কমিটিতে নারী নেতৃত্ব থাকলে আরও ভালোমানের সেবা নিশ্চিত করা যাবে।

মক্কা ও মদিনার দুই পবিত্র মসজিদ বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি জানিয়েছেন, বিভিন্ন বিভাগ যেমন- নির্দেশনা, পরামর্শ, উন্নয়নমূলক, প্রশাসনিক, ভাষাগত, প্রযুক্তিগত, প্রকৌশল, প্রশাসনিক, তদারকি সবক্ষেত্রেই তারা দায়িত্ব পালন করবেন। পবিত্র কাবার কিসওয়া, দুই পবিত্র মসজিদের আর্কিটেকচারের গ্যালারি এবং গ্রন্থাগারের জন্যও কিং আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সের মহিলাদের নিয়োগ করা হয়েছে।

গত সপ্তাহে সৌদির জেনারেল অথরিটি ফর স্ট্যাটিস্টিক্স (গাস্যাট) জানিয়েছে, সৌদি আরবের যুব বেকারত্বের হার গত চার বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া ১৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সের নারীরা আরও বেশি কর্মক্ষেত্রে যোগদান করছেন।

করোনাভাইরাসের কারণে সীমিত আকরে হওয়া হজে কাবার নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করেছেন একদল নারী। তেলের অর্থনীতি থেকে বের হয়ে আসতে এবং দেশের জনশক্তিকে ব্যবহার করতে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে সৌদি আরব। নারীর ক্ষমতায়ন বাড়াতেও নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। গাড়ি চালানোর বৈধতা আগেই দিয়েছে দেশটি। নারীর ক্ষমতায়নে আরও পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সৌদি আরব।