এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

চকরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তারের বিশেষ নির্দেশনা ও পরিকল্পনার আলোকে করোনাকালীন সময়ে উপজেলার ১৪৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে চালু হয়েছে অনলাইন ক্লাসে পাঠদান কার্যক্রম। ১৪৪টি বিদ্যালয়ের ৯৯০জন শিক্ষকের মধ্যে ৪২৮জন শিক্ষক শিক্ষিকা ইতোমধ্যে আইসিটি বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষন নিয়েছেন। উল্লেখিত আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ৪২৮জন শিক্ষকদের নিয়ে প্রতিটি বিদ্যালয়ে যুক্ত করা হয়েছে অনলাইন ক্লাসের কার্যক্রম।

অনলাইন ক্লাসের সাফল্যের সুত্রধরে এবার সরকারি নির্দেশনার আলোকে ১৫ আগস্ট শনিবার চকরিয়া উপজেলার ১৪৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভার্চুয়াল সিস্টেমে একযোগে পালিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানমালা।

চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তারের বিশেষ নির্দেশনায় সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো.আনোয়ারুল কাদের ও সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আবু জাফরের তত্তাবধানে উপজেলার ৬টি ক্লাস্টারের অধীনে ১৪৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবার অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠানমালায় অংশ নিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, এসএমসি ও অভিভাবক মহল। দীর্ঘদিন পরে অভিভাবকদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভার্চুয়াল সিস্টেমে বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানমালায় অংশনিতে পেরে কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও খুশিতে পঞ্চমুখ হয়েছেন বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা।

চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আক্তার বলেন, করোনা সংক্রমণের ঝুঁিক থাকায় প্রাথমিক ও গনশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারী করা নির্দেশনার আলোকে ১৫ আগস্ট চকরিয়া উপজেলার ১৪৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভার্চুয়াল সিস্টেমে একযোগে পালিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানমালা।

তিনি বলেন, এদিন প্রতিটি বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা, বিশেষ দোয়া মাহফিল। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত হয়েছে হামদ, নাত কবিতা, রচনা এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতার প্রতিচ্ছবি অঙ্কনের মাধ্যমে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাকে বিমোহিত করে তুলে। এক কথায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শোক দিবসের অনুষ্ঠানমালা ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বরণীয় হয়ে থাকবে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি বিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানমালায় অংশ নিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, এসএমসি ও অভিভাবক মহল। পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবিসহ বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সচেতন জনসাধারণ। এদিন চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ৬টি করে গাছের চারাও বিতরণ করা হয়েছে।

এদিকে চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশনার আলোকে চকরিয়া উপজেলার অপরাপর বিদ্যালয়ের মতো শনিবার ১৫ আগস্ট চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডস্থ কাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভার্চুয়াল সিস্টেমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী এবং শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিএম রুকুন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা (এসএমসি) কমিটির সভাপতি সাংবাদিক এম জিয়াবুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম নুরুস শফি, প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আলম সওদাগর। ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশনেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারি শিক্ষক শাহরিয়ার আওরঙ্গজেব চৌধুরী তারেক, সহকারি শিক্ষক সুচিত্রা চৌধুরী, সহকারি শিক্ষক পারভীন আক্তার, সহকারি শিক্ষক জেসমিন আক্তার, সহকারি শিক্ষক মিশোরী জন্নাত মিশু। আলোচনা শেষে বিশেষ দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন কাজিরপাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা জাকের হোসাইন হেলালী।

অপরদিকে এদিন চকরিয়া উপজেলার বড় ভেওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নানা কর্মসুচির মধ্যদিয়ে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পালিত হয়েছে জাতীয় শোক দিবস ২০২০ এর অনুষ্ঠানমালা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলসাদ আঞ্জুমান রুমা এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে এসএমসি, পিটিএ সভাপতি, শিক্ষকসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষানুরাগী ও অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন।

বড় ভেওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলসাদ আঞ্জুমান রুমা বলেন, জাতীয় শোক দিবসে আমাদের বিদ্যালয়ে হামদ, নাত কবিতা, বক্তব্য, রচনা এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অভিভাবকদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে *হামদ/নাত প্রতিযোগিতায় অংশনেন শিহাবুল ইসলাম-২য়, ইমাম হাসান-৪র্থ, ফাবিহা তাফান্নুন আফাফ-৪র্থ, সিনহা নুর ইয়ামিন -৩য়, আলিফা জন্নাত আখি-৩য়, শাহিনুর জন্নাত-৪র্থ, আরিফুল কবির। *কবিতা প্রতিযোগিতায় অংশনেন শিহাবুল ইসলাম -২য়, আবরার-১ম, ফাবিহা তাফান্নুন আফাফ-৪র্থ,সিনহা নুর ইয়ামিন -৩য়, সাফওয়ানা আমরিন-২য়, ইমাম হাসান-৪র্থ, আলিফা জন্নাত আখি-৩য়, আরিফুল ইসলাম সোহাগ-৩য়, আবদুল্লাহ আল-নোমান-৫ম, তাহসিনা -প্রাক, সানি -৩য়, তাসফিয়া জন্নাত তাহি ৪র্থ, মেহেদী হাসান জায়েদ ৪র্থ, তাশদীদ মেহেরাব ৪র্থ, সুমাইয়া জন্নাত ২য়, সুরাইয়া জন্নাত ৫ম।

তিনি বলেন, দেশাত্মবোধক গান প্রতিযোগিতায় অংশনেন আবরার-১ম, ফাবিহা তাফান্নুন আফাফ-৪র্থ, ইমাম হাসান-৪র্থ, আবদুল্লাহ আল নোমান-৫ম, *বক্তব্য প্রতিযোগিতায় সিনহা নুর ইয়ামিন -৩য়, সিহাবুল ইসলাম সানি-২য়, *যেসব শিক্ষার্থী রচনা জমা দিয়েছে তাঁরা হলো সায়হান আরিজ-৩য়, শাকিলা জন্নাত -৫ম, শেখ আহনাফ মেজবাহ জীম-৫ম, সাফওয়ানুল ইসলাম সোহান-৪র্থ, ফাবিহা তাফান্নুন আফাফ-৪র্থ, সিনহা নুর ইয়ামিন -৩য়, সাহিনুর জন্নাত-৪র্থ, হোসনে আরা জন্নাত মাহি-৪র্থ, মাহিয়া আফরোজ -৩য়, আবদুল্লাহ আল নোমান -৫ম, সিহান সোলতানা বকেয়া -৫ম, নাবিল সিকদার -৩য়, আকলিমা জন্নাত -৫ম, হালিমা জন্নাত ৫ম, মো জিহাম-৪র্থ, রুমাইশা জন্নাত -৪র্থ, তাসকিয়াতুল মোস্তফা-৩য়, সাদিয়া আবছারি ছোবাহ-৪র্থ প্রমুখ।