নিজস্ব প্রতিবেদক:

শহরের পানবাজার সড়কস্থ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ‘মনজুর প্লাজায়’ চলছে নিত্য দিন ঔষুধ বিকিকিনির মহোৎসব। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- কউক প্রায় অর্ধশত বছরের পুরনো ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে খালি করার নির্দেশ দিলেও মানছেন না ঔষুধ ব্যবসায়ী ও ভবন মালিক। ফলে কক্সবাজারের ঔষুধ মার্কেট খ্যাত ভবনটি যে কোন মূহুর্তে ধ্বসে পড়তে পারে। ঘটে যেতে পারে রানা প্লাজা ট্রাজেডির মতো ভয়ানক ঘটনা। বর্তমানে ভবনটিতে ঔষুধ দোকান মালিক কর্মচারী, ভাড়াটিয়া, ভবন মালিক হাজি মনজুর আলমের পরিবারসহ দু’ শতাধিক মানুষ চরম ঝুঁকিতে বসবাস করছে।

সরেজমিন ঘুরে ও প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়-কক্সবাজারেের ঔষুধ মার্কেট খ্যাত তিনতলা মনজুর প্লাজা নামের ভবনটি বিগত ১৯৭৫ সালে জনৈক গোবিন্দ নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে গোবিন্দ ভবনটি হাজি মনজুর আলমকে বিক্রি করে দেন। ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থ প্রায় অর্ধশত বছরের তিনতলা পুরনো ভবনটির আস্তর উঠে গেছে পরতে পরতে। জোড়াতালি দিলেও তা টিকছে না। মূমুর্ষ রোগীর ভূঁয়া চিকিৎসা সেবার মতো মার্কেটের সম্মুখ ভাগে সস্তা রং লাগিয়ে দেদারছে ঔষুধ বিক্রি করছে ১৩ জন ঔষুধ দোকানী।

এদিকে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে কউক গত ১৩ আগষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে ব্যানার টাঙ্গিয়ে দিয়েছে। এতে বলা হয়-কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনসমূহ চিহ্নিতকরণের নিমিত্তে গঠিত কমিটি বিগত চলতি সনের ১৪ মে সরেজমিন পরিদর্শন করে মনজুর প্লাজা। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই আগামী ৩০/০৯/২০২০ তারিখের মধ্যে ভবনটি খালি করে, যে কোন ধরণের ব্যবহার বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়- প্রয়োজনে ভবনটি ভেঙ্গে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণপূর্বক পূণঃনির্মাণ করে পূণঃব্যবহার করা যেতে পারে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভবন মালিক হাজি মনজুর আলম জানান- আমার মালিকানাধীন ভবনটি কউক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। কউকের সিদ্ধান্ত আমি মানতে বাধ্য।