খবর বিজ্ঞপ্তি : ভাষাসৈনিক ও খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী অধ্যাপক মুর্তজা বশীর। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার ৯.১০ মিনিটে (১৫ আগস্ট) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।

ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে, ভাষাসৈনিক ও খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী অধ্যাপক মুর্তজা বশীরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন গরাণ শিল্প সাহিত্য সভার সম্পাদক কবি মানিক বৈরাগী, কবি মনির ইউসুফ, অরণ্য শর্মা, সহ সম্পাদক কালাম আজাদ, রফিক মাহমুদ, রওনক জাহান, সিফাত আল নুর, মহিউদ্দিন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিক্যাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এমআইসিইউ) ভর্তি করা হয় মুর্তজা বশীরকে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, মুর্তজা বশীরের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া তিনি হৃদরোগ, ফুসফুস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন।

ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর ১৯৩২ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। চিত্রকলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯৮০ সালে একুশে পদক পান তিনি। একই কাজে স্বাধীনতা পুরস্কার পান ২০১৯ সালে। কর্মজীবনে তিনি দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বাংলাদেশে বিমূর্ত ধারার চিত্রকলার অন্যতম পথিকৃৎ মুর্তজা বশীরের ‘দেয়াল’, ‘শহীদ শিরোনাম’, ‘পাখা’, ‘রক্তাক্ত ২১শে’ শিরোনামের চিত্রকর্মগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পেইন্টিং ছাড়াও ম্যুরাল, ছাপচিত্রসহ চিত্রকলার বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করেছেন মুর্তজা বশীর। মুদ্রা ও শিলালিপি নিয়ে গবেষণা এবং বইও লিখেছেন ৮৮ বছর বয়সী এ বরেণ্য চিত্রশিল্পী।