কালেরকন্ঠ: অবশেষে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ আলমকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়েছে। তাকে ঢাকায় টুরিস্ট পুলিশের হেড অফিসে যোগদান করতে বলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা।

মামলার কারসাজি করতে ওসি মাহফুজ আলম ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার আগে করোনার ভয়ে দুই হাত জীবাণুমুক্ত করে নেন। এরপর হাতে টাকা নিয়ে পকেটে ঢোকান। লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলমের ঘুষ নেওয়ার প্রায় সাত মিনিটের এরকম একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে। তিনি এই ঘুষ নিয়েছেন একটি মামলার আসামিপক্ষের লোকজনের কাছ থেকে। মামলার আসামিকে তিনি গ্রেপ্তার করেননি, উল্টো আসামির পক্ষে টাকা নিয়ে ওই মামলার বাদীকেই হয়রানির ‘নীলনকশা’ তৈরির সঙ্গে ওসি নিজেকে জড়িয়েছেন।

ঘটনাটি নিয়ে গত বুধবার কালের কণ্ঠে ‘জীবাণুমুক্তহাতে ঘুষ নেন ওসি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া একাধিক গণমাধ্যমেও উঠে আসে বিষয়টি। এরপর লালমনিরহাটের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার। সর্বশেষ ওসি মাহফুজ আলমকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়।