ইমাম খাইর :

মহেশখালীতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আবদুস সাত্তার নিহতের ঘটনায় থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

একই সঙ্গে ওই ঘটনায় চার বছর আগে পুলিশের পক্ষে অজ্ঞাতনামা আসামী দেখিয়ে দায়েরকৃত মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সিআইডিকে।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে মহেশখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ আদেশ দেন।

বাদি পক্ষে আইনজীবী শহিদুল ইসলাম জানান, কথিত বন্দুকযুদ্ধে আবদুস সাত্তার হত্যার ঘটনায় ওসি প্রদীপ ও পুলিশের ৫ সদস্যসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন স্ত্রী হামিদা আক্তার (৪০)। বুধবার মামলাটি শুনানি হয়।

বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দিন ফৌজদারি দরখাস্তটি আমলে নিতে অপারগতা জানিয়ে বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে দায়ের করা রিট রয়েছে।

তিনি জানান, চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলাটি এএসপি মর্যাদার নীচে নয় এমন একজন সিআইডি কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্বে নির্দেশ দেন বিচারক।

হামিদা আক্তারের দায়েরকৃত ফৌজদারি দরখাস্তে ফেরদৌস বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস, থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই হারুনুর রশীদ, এসআই ইমাম হোসেন, এএসআই মনিরুল ইসলাম, এএসআই শাহেদুল ইসলাম ও এএসআই আজিম উদ্দিনকে অভিযুক্ত করেন।

ভিকটিম আবদুস সাত্তার হোয়ানক পূর্ব মাঝেরপাড়ার মৃত মৃত নুরুচ্ছফার পুত্র।

হামিদা আক্তার জানান, গত ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী সকাল ৭টার দিকে ফেরদৌস বাহিনীর সহায়তায় হোয়ানকের লম্বাশিয়া এলাকায় তার স্বামী আবদুস সাত্তারকে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় থানায় মামলা নেয়নি। অবশেষে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন। রিট পিটিশন নং-৭৭৯৩/১৭ মূলে ‘ট্রিট ফর এফায়ার’ হিসেবে গন্য করতে আদেশ দেন বিচারক। সেই আদেশের আলোকে তিনি একই বছরের ১৭ জুলাই কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে লিখিত দরখাস্ত দেন। কিন্তু পুলিশ আবেদন আমলে নেয় নি বলে জানান হামিদা আক্তার।

পুলিশ দাবি করেছে, নিহত আব্দুস সাত্তার অস্ত্র ব্যবসায়ী ছিলেন। এ ঘটনায় সেই সময় থানায় মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।