মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) এ.বি.এম.এস দোহা গত ৪ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল থেকে একই থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (অফিসার ইনচার্জ) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ওসি প্রদীপ কুমার দাশ গত ৪ আগস্ট মঙ্গলবার নিজেকে অসুস্থ হিসাবে উল্লেখ করে ছুটির আবেদন করলে তার ছুটির আবেদন মঞ্জুর করে এ.বি.এম.এস দোহাকে ওসি হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) এ.বি.এম.এস দোহা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। এ.বি.এম.এস দোহাকে জেলা পুলিশ থেকে জরুরি ম্যাসেজ পাঠিয়ে টেকনাফে এনে তাকে গত ৪ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল থেকে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি’র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নম্বর আসামী করা হয়েছে। মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খানের বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বুধবার ৫ আগস্ট টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ফৌজদারি দরখাস্ত দায়ের করেন। যার নম্বর : সিআর ৯৪/২০২০। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তামান্না ফারাহ্ বাদীর দায়েরকৃত ফৌজদারি দরখাস্তটি মামলা হিসাবে গ্রহণ করার জন্য টেকনাফ মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। একই সাথে বিশেষায়িত বাহিনী র‍্যাব-১৫ কে মামলাটি তদন্ত করে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছ। টেকনাফ মডেল থানা কর্তৃপক্ষ আদালতের আদেশ অনুযায়ী মামলাটি গ্রহন করার সাথে সাথে প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী মামলার ৯ জন আসামীর বিরুদ্ধে আপনাআপনি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে।