গত ৩০জুলাই দৈনিক কক্সবাজার বার্তা পত্রিকার চতুর্থ পৃষ্টায় ও ২৯ জুলাই voice world 24.Com এ প্রকাশিত সোনার পাড়া অপরাধের রাজা ফজলি শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হওয়ায় উক্ত মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদের জোর প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
আমাকে জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদ সমূহ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি একজন সচেতন নাগরিক ও সমাজসেবক হিসাবে পরিচিত। স্থানীয়ভাবে জনসেবার পাশাপাশি মাদক , মানব পাচার প্রতিরোধ ও বাল্য বিবাহ বন্ধ এবং যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভুমিকা পালন সহ অসহায় মানুষকে সাহায্যে এগিয়ে আসি। আমি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী।
প্রকাশিত সংবাদে আমাকে মানব পাচার ইয়াবা কারবারি, হুন্ডি ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ সহ সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ডে জড়িত উল্লেখ করে যে সংবাদ ছাপা হয়েছে তা অসত্য , বিবেকবর্জিত, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।
দৃড়তা ও সততার সহিত চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি আমি কখনো কোন সময় মানব পাচার, ইয়াবা ও হুন্ডি ব্যবসায় জড়িত ছিলাম না বর্তমান নেই। বরং মানব পাচার প্রতিরোধ কল্পে গঠিত কমিটিতে আমি যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। স্থানীয় নাগরিকদের নিয়ে এলাকায় মানববন্ধন রেলি ও একাধিক বার সচেতনতামূলক সভা করেছি যার প্রমাণ প্রকাশিত নিজের কাটিং সংরক্ষণ রয়েছে। এছাড়াও পর্যটন পর্যটন স্পট ইনানী ও হ্যাচারী জোনে আমার নেতৃত্বে দুটি সিন্ডিকেট চাঁদাবাজি করছে মর্মে প্রকাশিত সংবাদটি হাস্যকর ও অবান্তর। এ ধরনের ঘটনায় জড়িত আছি এমন কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না।
আমি আবারো চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি মানব পাচার ইয়াবা পাচার ও চাঁদাবাজির ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে থানায় এ ধরনের কোন মামলা পর্যন্ত নেই। এমনকি বেঙ্গল বে হ্যাচারী লুটপাটের ঘটনার মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আমাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন। যার আদেশ তারিখ ১/১/২০১৭। জিআর মামলা নম্বর ২২৭/০৯। সুতরাং আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদটি আইনের বরখেলাপ নয় কি কি?
মরিচা বাজারে হুন্ডির টাকা বিতরণ নিয়ে যে সংবাদ লেখা হয়েছে তা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়। এ ধরনের ঘটনার কোন ইতিহাস আমার জানা নেই।
বাস্তব ঘটনা হচ্ছে একই এলাকার কাদির হোসেনের পুত্র ভূমি দৃস্য আজিজ উল্লাহর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনীরা আমার ভোগ দখলীয় জায়গা জবরদখল চেষ্টা করলে আমরা বাধা প্রদান করি। ওই সময় সন্ত্রাসীরা দাঁড়ালো অবৈধ অস্ত্র দিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ ব্যাপারে আমি বাদী হয়ে ভূমিদস্যু আজিজ উল্লাহ কে কে প্রধান আসামি করে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করি। যার নম্বর সিআর ২৩৪/১৪। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
এদিকে উক্ত মামলা প্রত্যাহার করার জন্য প্রতিনিয়ত আমাকে মৃত্যুর হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। আমি মামলা প্রত্যাহার না করায় ভূমিদস্যু আজিজ উল্লাহ ও তার শ্যালক মোহাম্মদ হোসেন পরস্পর যোগসাজশে আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে একের পর এক মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে বানোয়াট ও ভূয়া সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে।
আমার জানামতে মোহাম্মদ হোসেন একজন জামাত-শিবিরের দুর্ধর্ষ ক্যাডার। তার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে উখিয়া থানায় দুটি মামলা রয়েছে। যার নম্বর জিআর ৪৯/১৩ ও জিআর ৫০/১৩। জনশ্রুতি রয়েছে জঙ্গি ও অগ্রবাদ সংগঠনের সাথে সাথে তার সম্পৃক্ততা। দেশ ও বিদেশ থাকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে অবৈধ পন্থায় মোহাম্মদ হোসাইন স্থানীয়ভাবে বিতরণ করছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তদন্ত করলে ঘটনার আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
এদিকে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক আমাদের বিবাহের আকদ পাঠ করান সোনার পাড়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল। সাক্ষী ছিলেন মাওলানা আব্দুল কাদের, শামসুদ্দিন ও মাওলানা শফিউল আলম সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বর্তমানে আমাদের ৭ বছরের সংসারে দুই ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। সুতরাং আমার বিবাহ নিয়ে সংবাদপত্রে আপত্তিকর লেখাটি তাদের নোংরামি চরিত্র ও কুরুচি মানষিকতার নষ্টামির পরিচয় ফুটে এসেছে।
এছাড়াও কোট বাজার ইসলামী ব্যাংকে আমার একাউন্টে ৫০ লক্ষ টাকা গচ্ছিত আছে এমন সংবাদ পড়ে হাসি পেয়েছে। কারণ শুধু ইসলামী ব্যাংকে নই বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংকে আমার নামীয় একাউন্টে এক লক্ষ টাকা জমা জমা নেই এবং উখিয়া টেকনাফে আমার কোন সিন্ডিকেট বাহিনীও নেই।
মূলত ভূমিদস্যু চক্র, ইয়াবা ও মানব পাচারকারী সিন্ডিকেট সদস্যরা তাদের হীন স্বার্থ হাসিল করতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে মিথ্যার রসদ গল্প বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে মনগড়া, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে জঘন্য মিথ্যাচার লিপ্ত হয়েছে। যার বিন্দুমাত্র সত্য নহে।
বিশেষ করে আমি আবু সৈয়দ ফজলি সম্পর্কে উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নিকট হতে জিজ্ঞাসা ও যাচাই-বাছাই করার জন্য বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি। একইভাবে আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা করা জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি।
পরিশেষে আমার বিরুদ্ধে উদ্ভুট বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা সংবাদের জোর প্রতিবাদ এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি এহেন অসত্য ও ভূয়া সংবাদ পড়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমার অনুরোধ রইল।

প্রতিবাদকারী
আবু সৈয়দ ফজলি
পিতা হাজী মৃত মকবুল হোসেন
সোনার পাড়া
৩ নম্বর ওয়ার্ড, জালিয়া পালং
উখিয়া