মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে করোনা ভাইরাস এর নমুনা টেস্ট ৩০ হাজার অতিক্রম করেছি। শনিবার ১ আগস্ট পর্যন্ত সর্বমোট নমুনা টেস্ট করা হয়েছে ৩০০২৮ জনের। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া সিবিএন-কে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২ এপ্রিল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে একটি পিসিআর মেশিনে করোনা ভাইরাস এর নমুনা টেস্ট করা শুরু হয়। গত মে মাসের শেষ দিকে ল্যাবে আরো একটি পিসিআর মেশিন এনে নমুনা টেস্ট করা হয়। এই ৩ মাসে বিরামহীনভাবে নমুনা টেস্ট করা হয়। মাঝখানে ল্যাবের কারিগরি ত্রুটি সারাতে গিয়ে ২ দিন নমুনা টেস্ট বন্ধ ছিলো। এ ২ দিন ছাড়া প্রত্যেকদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে নমুনা টেস্ট করা হয়েছে। একঝাঁক চিকিৎসক, মাইক্রোবায়োলজিস্ট, টেকনিশিয়ান, ল্যাবকর্মী জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে ল্যাবে দায়িত্ব পালন করছেন নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে। অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া বলেন, চলমান করোনা যুদ্ধের ফ্রন্ট লাইনার ল্যাবের সর্বস্থরের দায়িত্বশীলেরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে কাজ করায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। অথচ চট্টগ্রামের ৪ টি ল্যাব নমুনা টেস্টে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবের চেয়ে অনেক বেশি পিছিয়ে রয়েছে।
দেশের মোট ৮২ টি ল্যাবের মধ্যে ঢাকায় রয়েছে ৫০টি ল্যাব ও ঢাকার বাইরে রয়েছে ৩২ টি ল্যাব। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাব সহ দেশের ১৭ টি ল্যাবকে বিদেশগামী মানুষের নমুনা টেস্ট করে প্রত্যয়ন পত্র দিতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ৩০ হাজার ২৮ জনের নমুনা টেস্টে মধ্যে কক্সবাজার জেলা, রোহিঙ্গা শরনার্থী, বান্দরবান জেলা এবং চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলার মানুষের নমুনা রয়েছে।
এদিকে, দেশের ৮২ ল্যাবে শনিবার ১ আগস্ট পর্যন্ত নমুনা টেস্ট করা হয়েছে, ১১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬১১ জনের।
কক্সবাজার জেলায় শনিবার ১ আগস্ট পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা মোট ৩৪৩৮ জনে পৌঁছেছে। একইসময়ে কক্সবাজার জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারমধ্যে, ৫৬ জন স্থানীয় নাগরিক ও ৬ জন রোহিঙ্গা শরনার্থী।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত জেলায় ২৬৬৭ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৯’১৬%।
কক্সবাজার জেলায় গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত হেম আইসোলেশনে আছেন ৫০৭ জন করোনা রোগী ও প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন আছে ১১৫ জন করোনা রোগী। কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিসের ডা. সাঈকা হক প্রণীত ম্যাপিং থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এদিকে, ঢাকা বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা এখন সমানে সমান। উভয় বিভাগের প্রতিটিতে শনিবার ১ আগস্ট পর্যন্ত ৭৮৮ জন করে করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে। একই সময়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে সর্বমোট মৃত্যুবরণ করেছে ৩ হাজার ১৩২ জন। তারমধ্যে ৬৬২ পুরুষ ও ৬৭০ জন মহিলা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।