বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ফলে বন্যায় কবলিত হওয়া ১৫০টি পরিবারের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দিয়ে পাশে দাড়িয়েছেন “বাংলাদেশ হুইলচেয়ার ক্রীকেট দলের প্রথম ক্যাপ্টেন মোহাম্মাদ মহসিন।

৩১জুলাই, শুক্রবার বিকেলে এই কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেন “ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস কক্সবাজার” ইউনিট এর জলবায়ু কর্মীরা। এতে উপস্থিত ছিলেন “নতুন জীবনের” সংগঠনের সাইফুল আলম বাদশা।

মূলত “আইডেন্টি ইনক্লিউশন” এবং বাংলাদেশ হুইল চেয়ার ক্রীকেট দল” সম্মিলিতভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাড়িয়েছে। যারা বন্যায় কবলিত হয়েছে শুধু তারা নয় বরং বিশ্ব মহামারী আকার ধারণ করা কোভিড-১৯ এর ফলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের জন্যেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন হুইল চেয়ার ক্রীকেট দলের এই মহসীন।

মোহাম্মদ মহসিন বলেন, আসলে এই সংকট মুহূর্তে আমাদের সকলের এগিয়ে আসা উচিত। কারণ, করোনা মহামারী আকার ধারণ করার পর পরই আম্পানের ফলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকাগুলো। তার মধ্যে কক্সবাজারের ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কক্সবাজারের সমিতিপাড়া এবং কুতুবদিয়া এলাকার কয়েকশ পরিবার। এই ঈদের আগে সারা বাংলাদেশে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি এবং কক্সবাজারের বন্যায় কবলিত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সেই সাথে “ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস কক্সবাজার টীমের” সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি, কারণ তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে কক্সবাজারে আজকের এই কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।

ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস- কক্সবাজার এর সমন্বয়কারী জলবায়ু কর্মী শান্ত নূর বলেন, বাংলাদেশ হুইল চেয়ার ক্রীকেট টীম এর দলনেতা মেহাম্মদ মহসিন ভাইয়ের পাশে থাকতে পেরে আমরা সকলেই বেশ আনন্দিত হয়েছি। কারণ, সুবিধা বঞ্চিত শিশুগুলো কয়েকবেলা নিশ্চিন্তে ভাল এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে পারবে যা সবসময় হয়তো তাদের কপালে জুটে না। আমি এবং আমার ইয়ুথনেট এর জলবায়ু কর্মীরা সবসময় এমন মহতী উদ্যোগের পাশে আছি।

কক্সবাজার এর কুতুবদিয়া পাড়া, সমিতি পাড়া এবং শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এই কর্মসূচীর আয়োজন করা হয় এবং ১৫০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে এই শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেওয়া হয়।