মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু :
কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়ার তিতার পাড়া ডিক কুল গ্রামে জমি দখলে নিতে প্রতিপক্ষরা এক অসহায় পরিবারের বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৯ জুলাই) গভীর রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ অগ্নিকান্ডে বাড়ির মালামাল, আসবাবপত্র, নগদ টাকাসহ অন্তত দেড় লক্ষ টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।

পাশ্ববর্তী রুবি দাশ, মুন্নি দাশ জানান আগুনের কুন্ডলী দেখে তারা আগুন আগুন বলে চিৎকার করলে বাদলের সন্তানরা দ্রুত বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। এলাকার বৃদ্ধা অনন্ত বালা ও আরিফুল ইসলাম জানান তারা এই বাড়ি দখলে নিতে আরো একবার বাদল ও তার পরিবার না থাকার সুবাদে আগুন দিয়েছিল। এলাকাবাসী এসে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। শেষ পর্যন্ত বুধবার রাতে আগুন ধরার সাথে সাথে আধাঘণ্টার মধ্যে বাড়িটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় বাদল দাশ জানান আমি ও আমার স্ত্রী বাড়ীতে না থাকার সুবাদে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পতিপক্ষ স্বপনের নেতৃত্বে আমার বসতভিটা দখলে নিতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়। কি কারণে এ ঘটনা জানতে চাইলে বাদল বলেন. দীর্ঘদিন ধরে আমার বাপদাদার আমলে হইতে এ বসত ভিটা ভোগ দখলে আছি। এবং এ জমি নিয়ে আদালতে বিএস সংশোধনী মামলা চলমান। এর ফাঁকে প্রতিপক্ষরা আমাকে উচ্ছেদ করতে মিথ্যা মারামারির মামলাসহ অনেক রকম কলা কৌশল করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় অবশেষে আমার বসতভিটা দখলে নিতে আমার শেষ সম্বল একমাত্র মাথা গোজার টাই ঘরটি পুড়ে দেয়। এবিষয়ে আমি স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান, পুলিশ ফাঁড়ি, ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে অবগত করি। আমি তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসমাঈল নোমান থেকে জানতে চাইলে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুড়ে যাওয়া বসতঘরের মালিককে সামান্য আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা জানান। গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ আনিছুর রহমান জানান খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠান। লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।

এবিষয়ে অভিযুক্ত স্বপন থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ওয়ারিশ সূত্রে এবং কিছু জমি ক্রয় করি এ সূত্রে এই জমির মালিক আমি। তাই গত ১১-৯-২০১৯ ইং সনে কক্সবাজারের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট আদালতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা দায়ের করি। আদালত ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪ ধারা মতে রামু সহকারী ভূমি অফিসারকে সরেজমিনে তদন্ত করে মতামতসহ রিপোর্ট দেয়ার জন্য বলেন। এর পাশাপাশি অফিসার ইনচার্জ রামু থানাকে বিরোধীয় জমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বলেন। তবে তিনি বাড়িতে কে আগুন দিয়েছে জানেনা।কারণ কয়দিন আগে এ জমি নিয়ে বাদল দাশের পরিবার ও আমার পরিবার নিয়ে মারামারী হয়। এঘটনায় আমার বাবা আহত হলে আমি তাদেরকে নিয়ে হাসপাতালে ছিলাম এ জঘন্য কাজ যে করেছে আমিও তাদের বিচার চাই। এ সংবাদ লেখা কাল পর্যন্ত অসহায় বাদল দাশ পরিবার পরিজনদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে । এ অসহায় পরিবারটি ন্যায় বিচার দাবী করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।