সৈকতে জোয়ারের পানিতে আবার ভেসে এলো বর্জ্য

কক্সবাজারের ফুসফুস সৈকতকে পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রশাসন সজাগ : ডিসি কামাল হোসেন

প্রকাশ: ৩০ জুলাই, ২০২০ ০১:৪১ , আপডেট: ৩০ জুলাই, ২০২০ ০১:৪৭

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজারের পরিচিতি, অর্থনীতি, আকর্ষন, চালিকাশক্তি, বিনোদন নান্দনিককতা সহ সবকিছুর মূল কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে-বালুকাময় সুদীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের ‘ফুসফুস’। এই ‘ফুসফুস’-এ কোন রকম আঘাত আসলেই পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আঘাত আসবে। তাই এই ফুসফুসকে সুস্থ-সবল রাখতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সবসময় সর্বোচ্চ সজাগ রয়েছে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন এ কথা বলেন। কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত’কে পুরো বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ হিসাবে আখয়ায়িত করে কক্সবাজার বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন আরো বলেন, মহান সৃষ্টিকর্তার অপরিসীম দান কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের ব্যবস্থাপনায় অনেক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। জীব বৈচিত্র্য, সামগ্রিক পরিবেশ-প্রতিবেশ সুরক্ষা, ঝাউ বাগান সৃজন, আগের ঝাউ বাগান রক্ষা, সাগরলতার আরো বিস্তৃতি, লাল কাঁকড়া সহ সামুদ্রিক সকল প্রাণী বাঁচিয়ে রাখা, সমুদ্র সৈকত ও বঙ্গোপসাগর ভিত্তিক কক্সবাজারের ঐতিহ্য ও সভ্যতাকে বাঁচিয়ে রাখতে এসব প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। অপার সৌন্দর্য ও অফুরন্ত সম্ভাবনার এই সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ, প্রতিবেশ বজায় রেখে আরো নান্দনিক, আকর্ষনীয়, উপভোগ্য, রাজস্ব আহরনের অন্যতম উৎস হিসাবে গড়ে তুলতে সকল প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের তিনি সহযোগিতা কামনা করেন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পর্যটন সেলের কর্মকর্তা ইমরান জাহিদ খান জানান, বৃহস্পতিবার ৩০ জুলাই সকালে সমুদ্র সৈকতের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সাথে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব-উপসচিব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার, পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজারস্থ অফিসের সহকারী পরিচালক সংযুক্তা দাশ গুপ্তা, বীচ ক্লিনিং এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এসময় উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন।

সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা এখনকার বর্জ্য গুলো বেশির ভাগই জৈব জাতীয় পদার্থ বলে জানিয়ে পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান জাহিদ খান জানান, এর আগে ভেসে আসা বর্জ্য সমুহ ছিলো, অপঁচনশীল, প্লাটিক, টিন, মেডিকেটেট সামগ্রী। সমুদ্র সৈকতের বর্জ্য পরিস্কার করা নিয়মিত রুটিন ওয়ার্ক হিসাবে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ইমরান জাহিদ খান আরো বলেন, জেলা প্রশাসনের সাথে চুক্তি করা প্রতিষ্ঠানের বীচ কর্মীরা গত ২৯ জুলাই থেকে দ্বিতীয় দফায় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের নির্দেশনায় তিনি নিজেই বীচ কর্মীদের নিয়ে দিন-রাত সমুদ্র সৈকতের পরিচ্ছন্নতা কাজ সহ সামগ্রিক কার্যক্রম সক্রিয়ভাবে তদারক করছেন বলে জানান।