মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

আগামী শনিবার ১ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য ঈদুল আযাহার জামাত কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে হবেনা। অনুরূপভাবে জেলার সর্বত্র কোন খোলা মাঠেও ঈদুল আযাহার জামাত করা যাবেনা। মসজিদের অভ্যন্তরে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আযাহার নামাজ আয়োজন করতে হবে।

পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন উপলক্ষে অনলাইন প্লাটফর্মে জুম কনফারেন্স এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এক প্রস্তুতি সভায় জাতীয় গাইডলাইনের আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের নেতৃত্ব এই প্রস্তুতি সভায় ডিডিএলজি (উপসচিব) শ্রাবস্তি রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব-উপসচিব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. শাজাহান আলি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাসুদুর রহমান মোল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, কক্সবাজার সদরের ইউএনও মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, মহেশখালী ইউএনও জামিরুল ইসলাম, উখিয়ার ইউএনও মোঃ নিকারুজ্জামান, রামু’র ইউএনও প্রণয় চাকমা, পেকুয়ার ইউএনও সাঈকা সাহাদাত, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উপ পরিচালক, সহকারী পরিচালক, কক্সবাজার চেম্বর অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ খোকা, টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজী ইসলাম, কক্সবাজার পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহাবুদ্দীন সিকদার প্রমুখ জুম কনফারেন্স অংশ নেন।

সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে নিম্নবর্ণিত ১২ দফা নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। নির্দেশনা সমুহ হলো-

(১) ইদুল আযহার নামাজের জামাত কোন ইদগাহ বা খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে না। মসজিদের অভ্যন্তরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইদের নামাজ আয়োজন করতে হবে।
(২) প্রতিটি মসজিদে একাধিক ইদের জামাতের ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মসজিদ কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
(৩) মুসল্লিগণ বাড়িতে থেকে ওযু করে মাস্ক পরিধান করে মসজিদে আসবেন।
(৪) মসজিদে কোন প্রকার কার্পেট/ম্যাট ব্যবহার করবেন না।
(৫) মুসল্লিগণ কোলাকুলি বা হ্যান্ড শেক করা হতে বিরত থাকবেন।
(৬) প্রতিটি মসজিদের বাহিরে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে।
(৭) জেলা ও উপজেলা সদরে এবং সকল পৌর এলাকায় সরকার কর্তৃক প্রতিটি মহল্লার জন্য নির্ধারিত কোরবানির স্থানে পশু কোরবানি করতে হবে। কোরবানি পশুর বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে ফেলতে হবে।
(৮) সকল পৌর মেয়র সংশ্লিষ্ট এলাকার কোরবানি পশুর বর্জ্য ঈদের দিন (১ আগষ্ট) রাত ১২ টার মধ্যে অপসারণ করবেন।
(৯) গ্রামাঞ্চলে কোরবানি পশুর বর্জ্য গর্ত করে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।
(১০) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে কোরবানি পশুর চামড়া ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে।
(১১) কোরবানির চামড়া লবণ দিয়ে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
(১২) কোরবানির চামড়ার বিষয়ে কোন প্রকার গুজবে কান দিবেন না। গুজবকারীর বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে তথ্য দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।