ওসমান আবির :
টেকনাফে অভিযান চালিয়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করেছে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন।২৮ জুলাই মঙ্গলবার রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের নাফ নদীর তীর এলাকা থেকে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়।তবে এসময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে.কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান।

ফযসল হাসান খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির সদস্যরা জানতে পারে হ্নীলা ইউনিয়নের নোয়া পাড়ার বিজিবির বিশেষ ক্যাম্পের এলাকা বরাবর নাফনদী দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে প্রবেশ হতে পারে।এমন তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ন সদরের ২ বিজিবির একটি বিশেষ টহলদল নোয়া পাড়া বিএসপির প্বার্শবর্তী অস্থায়ী বিজিবির ডিউটি পোষ্টের নিকটস্থ কেওড়া বাগান সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করেন।আনুমানিক রাত ২.৩০ ঘটিকার সময় উক্ত এলাকায় অবস্থানরত টহলদলের সদস্যরা দুইজন ব্যক্তিকে সাঁতরিয়ে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশের সীমানায় কেওড়া বাগান সংলগ্ন নাফ নদীর তীর হতে কূলে উঠতে দেখে চ্যালেঞ্জ করে বিজিবি সদস্যরা।এমন সময় মাদক কারবারীরা দূর থেকে টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্ধকারের সুযোগে একটি বস্তা কাঁদা মাটিতে পুতিয়ে রেখে কেওড়া বাগানের আঁড় ব্যবহার করে পালিয়ে যায়।পরে টহল দল উক্ত এলাকা তল্লাশী করে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া বস্তাটি দ্ধার করে।পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত বস্তা থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার পিচ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে।যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা প্রায়।এদিকে, পাচারকারীদের আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকার নদী সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় সারা রাত অভিযান পরিচালনা করেন।তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

উদ্ধারকৃত ইয়াবাগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে, যা পরবর্তীতে উদ্ধর্তন কর্মকর্তা,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ও স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে বলে জানান লে.কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান।