সিবিএন ডেস্ক:

শফিউল বারীর কফিনে বিএনপির শ্রদ্ধা, গুমরে কাঁদলেন নেতাকর্মীরা
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর মরদেহের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি। জানাজা ও শ্রদ্ধা জানানোর সময় এই ত্যাগী নেতাকে স্মরণে গুমরে কাঁদতে দেখা যায় বিএনপির নেতাকর্মীদের।

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সকালে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতৃবৃন্দ শফিউল বারীর কফিনে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর আগে তার কফিন বিএনপির পতাকা দিয়ে ঢেকে দেন বিএনপি মহাসচিব।

তার আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে শফিউল বারী বাবুর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপির মো. শাজাহান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু, আমিনুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আবদুস সালাম, জামায়াতের মহানগর নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ইয়াসীন আলী, ঢাকাস্থ রামগতি ইয়ুথ ফোরামের নজরুল ইসলাম বাবলুসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। জানাজায় ইমামতি করেন মাওলানা শাহ নেছারুল হক।

জানাজার আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘আজকে শফিউল বারী বাবুর জানাজায় উপস্থিত হতে হবে এটা আমরা কল্পনাও করিনি। বাবু শুধু স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছিলেন না, তিনি বিএনপির একটা প্রাণ ছিলেন। সারাদেশে অসংখ্য নেতাকর্মী তার হাতে তৈরি হয়েছে এবং বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের মধ্যে এই ধরনের ত্যাগী, মেধাবী, বুদ্ধিমান, লেখাপড়া জানা নিবেদিতপ্রাণ নেতা খুব কম আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাবুকে হারিয়ে আমরা আমাদের একটা অমূল্য সম্পদকে হারালাম। বিএনপির এই সৈনিক, শহীদ জিয়াউর রহমানের এই সৈনিক, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই সৈনিক, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই সৈনিক কখনো পেছনে ঘুরে তাকাননি। আন্দোলনে, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তার ভূমিকার কোনো তুলনা হয় না। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করেন।’

দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল ও প্রয়াত বাবুর বড় ভাই সাহেদুল বারীকেও স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে গুমরে গুমরে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে।

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ফুসফুসের জটিলতায় মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট থাকায় সোমবার দুপুরে বাবুকে প্রথমে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত দেড়টায় তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

শফিউল বারী বাবু জাতীয়বাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

লক্ষীপুরের রামগতিতে বাদ আসর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবুকে দাফন করা হবে।

স্বেচ্ছাসেবক দল তার সংগঠনের সভাপতির মৃত্যুতে সারাদেশের জেলা, মহানগর, থানা, উপজেলা ও পৌরসভায় আজ মঙ্গলবার খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।