বলরাম দাশ অনুপম :
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগষ্টের মাঝামাঝিতে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দেওয়া হবে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ। তাই নতুন চেয়ারম্যান কে হচ্ছেন এই নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। চলছে জোর লবিংও। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কানাঘুষার শেষ নেই। তবে টানা তৃতীয় বারের মত উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ এই পদে বসতে যাচ্ছেন বর্তমান চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অবঃ) ফোরকান আহমদ, এমন সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে নির্ভরযোগ্যদের কাছ থেকে। তবে প্রজ্ঞাপন জারী হলে তা চূড়ান্ত ভাবে বলা যাবে। টানা তৃতীয় বারের মত কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হলে চমক সৃষ্টি করবেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ফোরকান আহমদ।
আবার অন্য একটি সূত্র মতে বর্তমান চেয়ারর্মান লে. কর্ণেল (অবঃ) ফোরকান আহমদ যদি কউক চেয়ারম্যান না হন তাহলে সেই পদে অন্য কেউ এলে এর মধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার নাম বেশী চাউর হচ্ছেন । তবে সকলেই বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকেই কউক চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিবেন তাকে নিয়েই কক্সবাজারের চলমান উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষায় কাজ করবেন তাঁরা।
জানা যায়-২০১৫ সালে পরিকল্পিত নগরায়নের মাধ্যমে কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে আর তা বাস্তবায়নে জাতীয় সংসদে ‘কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল-২০১৬’ পাস হয়। এরপর কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে দুই দফায় দায়িত্ব পালন করে আসছেন লে. কর্ণেল (অবঃ) ফোরকান আহমদ।
টানা দুই বার কউক চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তাকে পুনরায় নিয়োগ না দিলে এই পদে আসতে পারে নতুন মুখ। আর এই পদে আসতে পারে এমন সম্ভাব্যদের মধ্যে অনেকের নাম শুনা গেলেও অনেকটাই এগিয়ে আছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা। যদি বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক সেনা কর্মকর্তা ফোরকান আহমদ তৃতীয় বারের মত দায়িত্ব না পান তাহলে এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা এই পদে দায়িত্ব পেতে পারেন এমনটাই শুনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। আবার অনেকেই বলছেন এই দুই জনের বাইরে অন্য কেউই দায়িত্ব পেতে পারেন কউক চেয়ারম্যানের।
এদিকে সাধারণ মানুষের দাবি, বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহর করতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অনেক বেশি। তাই কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হতে হবে সৃষ্টিশীল ও আধুনিক। কারণ কউকই পারে কক্সবাজারকে দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজাতে।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা জানান-এখানে তদবির কিংবা আবেদন করার কিছুই নেই। কক্সবাজারের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী যাকেই এই পদে বসাবেন তাকে নিয়েই আমরা এগিয়ে যাবো।
অন্যদিকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বর্তমান চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অবঃ) ফোরকান আহমদ জানান-এই পদে যিনি আসবেন তাকে আগে কউক সর্ম্পকে জ্ঞান থাকতে হবে। আর এটা এমন একটি প্রতিষ্টান যেখানে একজন অভিজ্ঞ লোককে দিতে হবে। তিনি জানান-এই কউককে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতায় জিরো থেকে শুরু করে এতটুকুকে নিয়ে এসেছেন। বর্তমানে তিনি ২৪০টি পদের মধ্যে মাত্র ১৪ জন কর্মকর্তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এরপরও যদি প্রধানমন্ত্রী অন্য কাউকে দায়িত্ব দেন তাহলে তাঁকে নিয়ে কক্সবাজারের উন্নয়নে কাজ করবেন জানান বর্তমান কউক চেয়ারম্যান।