ওসমান আবির :
কক্সবাজার এবং বান্দরবান জেলাকে নিয়ে ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসের শেষের দিকে আত্মপ্রকাশ করে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১৫)। এর পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে অভিযান করে মাদক, অস্ত্র উদ্ধার ও গ্রেফতার সহ নানা সফলতার তথ্য প্রকাশ করেছেন র‌্যাব-১৫। আজ রবিবার কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সাথে সাংবাদিকদের আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে এই সব তথ্য প্রকাশ করেন র‍্যাব- ১৫ এর সিও, উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ, পিপিএম(বার), পিএসসি, জিডি(পি)।

র‌্যাব-১৫ এর প্রতিষ্টার পর থেকে এ পর্যন্ত দীর্ঘ ১৮ মাসে কক্সবাজার ও বান্দরবন জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৫১ লক্ষ ৬ হাজার ২’শ ৮০ পিচ ইয়াবা, ২১.৭ কেজি গাঁজা, ১৭৭ বোতল ফেনসিডিল, ৭ হাজার ৮’শ ৭৩ লিটার চোলাই মদ, ৯৯ বোতল বিদেশী মদ, ৩১৮ ক্যান বিয়ার উদ্ধার করেছেন।এছাড়া ৮টি বিদেশী পিস্তল, ৪৮টি ওয়ানশুটারগান, ৭টি ডিবিবিএল, ৪টি এসবিবিএল, ২টি থ্রি-কোয়ার্টারগান, ১৪টি এলজি, ১টি বার বোর রাইফেল উদ্ধার করেছেন।এ পর্যন্ত র‍্যাবের হাতে ৫৩২জন মাদক সংক্রান্ত মামলায়,অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় ৭৭ জন এবং অন্যান্য মামলায় ৩৫ জন মানুষ গ্রেফতার হয়েছেন।এ পর্যন্ত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ৩০ জন।মোবাইল কোর্টের ১৪টি মামলায় এ পর্যন্ত জরিমানা করেছেন ৩০ লক্ষ ৩ হাজার টাকা।মোবাইল কোর্টের মামলায় কারাদন্ড প্রদান করেছেন ১১ জনকে।

উইং কমান্ডার আজিম উদ্দিন বলেন, প্রতিষ্টার পর থেকে মাদক সহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে র‍্যাব-১৫ এর অভিযান সব সময় অব্যাহত ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।তবে দুঃখ জনক হচ্ছে ইয়াবা ব্যবসা যে পরিমান কমার কথা সে পরিমান কমেনি বরং পাইকারী এবং খুচরা পর্যায়ে আরো বাড়ছে এতে আমাদের প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।নতুন করে আসা বিপুল সংখ্যাক রোহিঙ্গাদের কারনে ইয়াবা ব্যবসা বা পাচার বন্ধ করা যাচ্ছেনা। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক বেশ ইয়াবা ব্যবসায়ী তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।