চকরিয়া সংবাদদাতা:
চকরিয়ায় চলমান বর্ষায় বসতবাড়ির চাল থেকে পানি পড়াকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বিরোধ সৃষ্টিসহ প্রতিবেশি পরিবারের উপর দুই দফায় ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে অতর্কিত হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আহত হয়েছে আবদু শুক্কুরের মেয়ে মনোয়ারা বেগম (২০), শরীফাতুল জন্নাত জেমি (১৮) ও তাদের মা নুর জাহান বেগম (৪৫)। তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মোক্তার মাস্টারপাড়া গ্রামে গত ২২ জুূলাই রাত ১০টায় ও পরদিন ২৩ জুলাই সকাল ৯টার দিকে ঘটেছে এ ঘটনা। এনিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের আবদু শুক্কুরের মেয়ে মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে এদিন থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে; নুর আহমদের পুত্র মুজিবুর রহমান, মোজাফ্ফরের পুত্র মো: ইসমাইল, নজির আহমদের পুত্র এনায়ত উল্লাহসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫জন রয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, চলমান বর্ষা মৌসুমে সাহারবিল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মোক্তার মাস্টারপাড়া গ্রামের অসহায় পরিবারের আবদু শুক্কুরের বসতবাড়ির চাল থেকে পানি পড়াকে কেন্দ্র করে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বিরোধ সৃষ্টি করে আসছে প্রতিবেশি ঝগড়াতে পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাদিন প্রথমে গত ২২ জুূলাই রাত ১০টার দিকে অভিযুক্তরা বসতবাড়িতে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে অতর্কিত হামলা,ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। হামলাকালে প্রায় ১লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে এবং আরো ১লাখ টাকা মূল্যের ২ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরদিন ২৩ জুলাই সকাল ৯টার দিকে পূর্বশত্রুতার আক্রোশে একই উদ্যোশ্যে দা কিরিছ, লোহার রড হাতুড়ী দিয়ে ফের হত্যার চেষ্টায় হামলা চালায়। হামলাকালে একই পরিবারের মা-মেয়েসহ ৩জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে মেয়ে ও মায়ের মাথায়, গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক কিরিছের আঘাত রয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে চকরিয়া থানার ওসি মো: হাবিবুর রহমানের নির্দেশে উপপরিদর্শক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, সরে জমিনে তদন্তকালে হামলা, ভাংচুরের সত্যতা পাওয়া যায়। আহতদের জখমও দেখা হয়েছে। চকরিয়া থানার ওসি মো: হাবিবুর রহমান জানান, লিখিত অভিযোগটি পেয়েছেন। ঘটনাটি খুবই দু:খজনক। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।