সিবিএনঃ
টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ উখিয়া কুতুপালং এলাকার ইউপি সদস্য মৌলভী বখতিয়ার উদ্দিন (৫৫) প্রকাশ বখতিয়ার মেম্বারসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৪ জুলাই) ভোর রাতে হ্নীলার ওয়াব্রাং এলাকায় এঘটনা ঘটে।
নিহত অপরজন কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের ইউছুপ আলীর ছেলে রোহিঙ্গা মো. তাহের (২৭)।
বখতিয়ার মেম্বার উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং এলাকার মৃত কালা মিয়ার ছেলে।
পুলিশের দাবী, তারা দুজনই শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক মামলা রয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ৫টি দেশীয় তৈরি এলজি, ১৭ রাউন্ড কার্তুজ, ১৩ রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ থানা পুলিশের একটিদল অভিযানে নামে। এসময় ইয়াবাপাচার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ইউপি মেম্বার মৌলভী বখতিয়ার ও রোহিঙ্গা যুবক মো: তাহেরকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাং এলাকায় ইয়াবা মজুদের কথা স্বীকার করেন।
তাদের এ তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার দিবাগত রাতে ইয়াবা উদ্ধারের জন্য যান।
এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা কিছু ইয়াবাকারবারি আটক আসামীদের ছিনিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশের উপর গুলি ছুঁড়ে।
এতে পুলিশের এমসআই মাঝহারুল ইসলাম, কনষ্টেবল মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ হাবিব এবং আবু হানিফ আহত হয়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি করলে এক পর্যায়ে ইয়াবাকারবারিরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৫টি দেশীয় তৈরি এলজি, ১৭ রাউন্ড কার্তুজ, ১৩ রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং ২০ হাজার ইয়াবাসহ হামলাকারিদের গুলিতে পুলিশের হেফাজতে থাকা আসামী বখতিয়ার মেম্বার ও রোহিঙ্গা যুবক মোঃ তাহেরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
তাদের চিকিৎসার জন্য প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মৃতদেহ দুইটি ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এব্যাপারে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান ওসি প্রদীপ।