কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এল.এ মামলা নং- ০৪/২০১৯-২০২০ ইং, মৌজা- ঝিলংজা, বিএস খতিয়ান নং- ৮৩৮, রোয়েদাদ নং- ০১, বিএস দাগ ১৩২৬৪, রোয়েদাদ নং- ০৪, বিএস দাগ নং- ১৩২৬৭-এ জমির স্বত্তদখলীয় মালিক আমি নিম্নস্বাক্ষরকারি। আরএস ১৪৩ নং খতিয়ানের আরএস ৪৩৩২ নং দাগ মোতাবেক বিএস ৮৩৮ নং খতিয়ানের বিএস ১৩২৬৪ ও ১৩২৬৭ নং দাগের সম্পূর্ণ জমি ছমবুল বাহারের জমি ছিল। উক্ত ছমবুল বাহার উল্লেখিত আরএস ১৪৩ নং খতিয়ানের সম্পূর্ণ ১ দশমিক ২৪ একর জমি (বিএস ১৩২৬৪ ও ১৩২৬৭ নং দাগের জমিসহ) আরএস দাগ উল্লেখে বিগত ০৩/০৩/১৯৭০ ইং তারিখের ১২৯৩ নং রেজিঃযুক্ত দানপত্র দলিল মূলে তাহার ৩ ছেলে গোলাম বারী, আবু বক্কর, আবু ছৈয়দকে দান করিয়া নিঃস্বত্ববান হইয়া যান। উপরোক্ত দান গ্রহীতা গোলাম বারী, আবু বক্কর, আবু ছৈয়দ ১ দশমিক ২৪ একর জমির আন্দর শূণ্য দশমিক ৩৩৩৩ একর জমি বিগত ২১/১২/১৯৮৭ ইং তারিখের ৩৪০৭ নং কবলা দলিল মূলে আমাকে বিক্রয় করিয়া দখল অর্পন করেন।

উপরোক্ত খরিদ সূত্রে প্রাপ্ত হইয়া উল্লেখিত ১ ও ৪ নং রোয়েদাদভুক্ত বিএস ১৩২৬৪ ও ১৩২৬৭ নং দাগাদির সম্পূর্ণ জমিতে ১টি দ্বিতল পাকা গৃহ, ১টি ১ তলা পাকা ঘর, ২টি সেমিপাকা বসতগৃহ ও গোয়াল ঘর, লেট্টিন, টিউবওয়েল, মটর ও গাছপালাসহ বাড়ী উপলক্ষে ভোগ দখলে আছি। ফলে ১ ও ৪ নং রোয়েদাদভুক্ত জমি বাড়ী শ্রেণীর জমি হিসাবে ও উক্ত জমিতে স্থিত অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ পাওয়ার হকদারও আমি। কিন্তু কতেক ব্যক্তির অপরাপর জমিসহ আমার বিএস ১৩২৬৪ ও ১৩২৬৭ নং দাগাদির জমি একত্রে বিএস ৮৩৮ নং খতিয়ান প্রচার হওয়ায় অপরাপর বিএস দাগাদির স্বত্ববান ব্যক্তিগণ তাহাদের আরএস দাগ তথা স্বত্ব দখল গোপন করিয়া আমার ভোগ দখলীয় জমি নামজারী ও জমাভাগ খতিয়ান সৃজন করিয়া আমার ভোগ দখলে থাকা জমি তাদের দাবী করে। তখন আমি বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালত কক্সবাজার এ অপর-২২/২০২০ ইং মোকদ্দমা দায়ের করি। বর্তমানে উক্ত মোকদ্দমা বিচারাধীন আছে এবং মাননীয় আদালত আমার অভিযোগ তদন্তের ব্যবস্থা করেন। উক্ত তদন্তে সূত্রে উল্লেখিত ১ ও ৪ নং রোয়েদাদভুক্ত বিএস দাগের সম্পূর্ণ জমিতে আমার ১টি দ্বিতল পাকা গৃহ, ১টি ১ তলা পাকা ঘর, ২টি সেমিপাকা বসতগৃহ ও গোয়াল ঘর, লেট্টিন, টিউবওয়েল, মটর ও গাছপালা আছে মর্মে প্রতিবেদন দেয়া হয়।

সম্প্রতি আমার বসতগৃহসহ বিভিন্ন অবকাঠামো স্থিত বাড়ী শ্রেণীর জমিকে পুকুর শ্রেণী মর্মে সূত্রে উল্লেখিত এল.এ মামলা মূলে অধিগ্রহণ করা হয়। আমার ভোগদখলী জমিসহ অপরাপর ব্যক্তিগণের জমি লইয়া এজমালী বিএস খতিয়ান প্রচারের কারণে কতেক নিঃস্বত্ববান বিএস রেকর্ডেড মালিকের ওয়ারিশ হইতে দলিল সৃজন পূর্বক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাকে বশীভূত করিয়া আমার ভোগ দখলীয় জমির ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলনে অপচেষ্টা করিতেছে। উক্ত অপচেষ্টার ধারাবাহিকতায় বিনা নোটিশে উপরোক্ত বিএস দাগের বিষয়ে কতেক ব্যক্তির যোগসাজসে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা শুনানী কার্য্য সম্পন্ন করেন। লোক মারফতে হঠাৎ বিষয়টি শুনিয়া এডভোকেটসহ হাজির হয়। শুনানীয়ান্তে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ২৩ জুলাই বিকাল ৪ ঘটিকার মধ্যে লিখিত বক্তব্য প্রদানের জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ দেন। তাড়াহুড়া করিয়া লিখিত বক্তব্য দাখিল করি। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীগণ রিসিভ কপি প্রদান করেননি। ইতিপূর্বে আমি অধিগ্রহণকৃত উল্লেখিত বিএস দাগাদির জমি বাড়ী ভিটি কিনা তথায় বসতগৃহ আছে কিনা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করি। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ কার্যালয়ের পক্ষে অদ্যাবদি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আমার আপত্তি বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করিয়া নিঃস্বত্ববান ও জালিয়ত চক্রকে ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালাইয়া যাইতেছে। এমতাবস্থায় তা রদে আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তর এর কর্তাসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

বিনীত-
রাহমত আলী
পিতা- মৃত আবদুর রশিদ,
সাং- চাঁন্দের পাড়া, ঝিলংজা, কক্সবাজার।