উখিয়া সংবাদদাতা :
উখিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উখিয়ার রুমখা বাজারে জোর পূর্বক সংখ্যালঘু পরিবারের জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উক্ত ঘটনায় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে ।
এ ব্যাপারে মিলন রায় চৌধুরী গত ১৭ জুলাই উখিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উখিয়া থাকার ওসি মর্জিনা আকতারের নির্দেশে ইন্সপেক্টর প্রভাতের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসেন। এসময় প্রতিপক্ষ বিবাদীগনকে কাজ না করার জন্য মৌখিকভাবে অনুরোধ করেন।
ভুক্তভোগী মিলন রায় চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন , আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও থানা পুলিশের মৌখিক নির্দেশ অমান্য করে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিযে জোর পূর্বকভাবে বতুতল ভবনের নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে আমরা সংখ্যালঘু পরিবার হওয়ায় উল্টো আমাদেরকে নানা হুমকি ধমকিসহ মিথ্যা মামলার হুংকার দিচ্ছে।
আদালতে দায়েরকৃতক মামলাসুত্রে জানা যায় , হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখা বাজার পাড়ার মৃত তেজেন্দ্র বিজয় রায় চৌধুরীর ছেলে মিলন রায় চৌধুরী পৈত্রিক সম্পত্তির ওয়ারিশ হিসেবে বিগত ২০২৬ সালে কক্সবাজার বিজ্ঞ যুগ্ম জজ আদালতে বাদী হয়ে হক সফি মিস মামলা দায়ের করেন। একই সাথে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করে এতে বিবাদী করা হয় রুমখা মাতবর পাড়া গ্রামের নুর আলমের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম ও মামুনুর রশীদকে । যার মামলা নম্বর মিচ ২৬/২০১৬। বিজ্ঞ আদালত গত ২৯.০৯.২০১৬ সালের এক আদেশে বিরোধীয় জায়গায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। যার স্মারক নম্বর ১৯৬/১৬।
বিবাদী মিলন রায় চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন , বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে তিনি চট্টগ্রাম বাড়িতে চলে যান। এলাকায় লকডাউন ও রেডজোন চলাকালীন বিবাদীগন ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঐ জায়গার উপর বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন , উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ক্ষমতা এবং স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় , অন্যদিকে আমরা সংখ্যালঘু হওয়াতে অসহায় হয়ে পড়েছি।
এ ব্যাপারে সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টিসহ উর্ধতন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।