মাননীয়

জেলা প্রশাসক

কক্সবাজার।

বিষয়ঃ ১৪০ টাকার পরিবর্তে স্পীড বোট ভাড়া ৭৫ টাকা করার প্রসঙ্গে।

জনাব,
সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে আমরা পৃথিবীর একমাত্র পাহাড় সমৃদ্ধ দ্বীপ মহেশখালীর বাসিন্দা হই, এই উপজেলার লোকসংখ্যা প্রায় ৩,২১,২১৮ জন [২০১১ এর আদম শুমারীর হিসাব অনুযায়ী]। যদিওবা ২০২০ সাল পর্যন্ত ক্রমাগত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে! সারা বিশ্বে করোনা নামক মহামারী রোগটা সবকিছু উলোটপালোট করে দিয়েছে! এ কঠিন পরিস্থিতিতে করোনা মোকেবেলায় আপনার পরিশ্রম ছিল প্রসংশনীয়! ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা না করে আপনি করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায়দের নিয়মিত খোঁজ খবর রেখেছেন! মাননীয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা কৃত ত্রাণ আপনার মাধ্যমে জেলার প্রতিটি ঘরে পৌছে দিয়েছেন। এমনকি আপনি ব্যাক্তিগত ফান্ড হতে ও করোনার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। আপনার এ ধরনের মহৎ গুণাবলি কক্সবাজার বাসি জীবনে শোধ করতে পারবে না। যেটা এখন ও পর্যন্ত চলমান রেখেছেন আপনি।

মাননীয়, আপনি জানেন বিগত ৪ মাস পর্যন্ত মহেশখালী তথা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার মানুষ করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে! মহেশখালীর প্রায় লোক কক্সবাজার সদরে প্রতিনিয়ত নদী পারাপার করে ছোটখাটো ব্যাবসায়ি তাগিদে। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের করোনার এই কঠিন পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেখানে স্পীড বোট ভাবদ ১৪০ টাকা ভাড়া অসহনীয়। স্বাস্থ্যবিধী মেনে চলে স্পীড বোটের ভাড়া আগের ৭৫ টাকা বহাল করলে মহেশখালী তথা পুরো কক্সবাজারের সাধারণ অসহায়রা উপকৃত হবে। মাননীয়, আপনি জেলার প্রধান আপনি চাইলেই সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।

অতএব মহোদয় কৃপা বিতরণে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায়দের আর্থিক কথা বিবেচনা করে স্পীড বোট ভাড়া ৭৫ টাকা করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি! পরিশেষে আপনার সুস্বাস্থ্যের দীর্ঘায়ু কামনা করি।

মহেশখালীবাসীর পক্ষ হতে

গিয়াস উদ্দিন