বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও পোকখালী ইউনিয়নের নিকাহ ও তালাক রেজিস্টার পদে নিয়োগ পেতে অযাচিত দৌড়ঝাঁপ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জালালাবাদ ইউনিয়নের বর্তমান কাজী মৌলানা মুহিব উল্লাহ এই অপচেষ্টা করছে। ইতোপূর্বে তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে জালালাবাদ ইউনিয়নের নিকাহ ও তালাক রেজিস্টার পদ ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে সুশীল মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কিভাবে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গুরুত্বপূর্ণ সরকারি একটি পদে দায়িত্ব পায় এ নিয়ে হতবাক স্থানীয়রা। তার অপকর্মের বিষয়টি নজরে আনতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি।
অভিযোগে জানা যায়, ঈদগাঁও পোকখালী ইউনিয়নের নিকাহ ও তালাক রেজিস্টার পদে দীর্ঘদিন সততার সাথে দায়িত্বে ছিলেন পোকখালী ইউনিয়নের উত্তর নাইক্ষংদিয়ার মরহুম জাফর আলম। গত ১৫ জুন তার মৃত্যু হয়। তারপর থেকে পদটি খালি রয়েছে। এই সুযোগে পদটি হাতিয়ে নিতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে মহিব উল্লাহ। এ জন্য তিনি নিজেকে সাংসদসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছের লোক পরিচয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। তবে সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল মহিব উল্লাহ নামে কাউকে চেনেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মহিব উল্লাহর পিতা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরির সুবাদে ঈদগাঁওতে আসেন। তার স্থায়ী বাড়ি চকরিয়া উপজেলা বরইতলী গ্রামে। তার বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় ১৯৮৭ সালে একটি অস্ত্র মামলা (জিআর নং০ ১১৬) দায়ের হয়। ওই মামলার তদন্ত ও শুনানী শেষে ১৯৯০ সালে তাকে অপরাধী সাব্যস্ত করে ৩ বছর সাজা দেয় বিজ্ঞ আদালত। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক সরকারী গাছ এবং পাহাড় কাটার একটি মামলাও চলমান আছে। যার মামলা নং- পিওআর ০৩/পূর্ণ অব ২০০৬-০৭/ঈদ)। মামলা ও কারাদন্ডের তথ্য গোপন করে মহিব উল্লাহ সরকারের সাথে প্রতারণা করেন। প্রতারণার অংশ হিসেবে ২০০৫ সালে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে জালালাবাদ ইউনিয়নের নিকাহ ও তালাক রেজিস্টার পদে নিয়োগ লাভ করে। যা আইনের দৃষ্টি ফৌজদারি অপরাধ বটে।
তাই তদন্ত সাপেক্ষে অপকর্মের লাগাম টেনে ধরতে জালালাবাদ ইউনিয়নের নিকাহ ও তালাক রেজিস্টার পদ থেকে অব্যাহতিসহ তার সনদ বাতিল করার দাবি তুলেছেন সচেতন মহল।
অভিযোগের বিষয়ে মৌলানা মহিব উল্লাহ বলেন, অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর আমি হাইকোর্টে আপিল করি। আপিলের ভিত্তিতে ওই মামলা খালাস করে দেন মহামান্য হাইকোর্ট। বনবিভাগের মামলাও নিষ্পত্তি করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, জালালাবাদ ইউনিয়নের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের তাকে পোকখালী ইউনিয়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে গত ১৬ জুলাই জেলা রেজিস্টারের (স্বাক্ষরিত স্মারক নং ৬০৯/০৪) আদেশের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিচার শাখা ৭ এর সিনিয়র সহকারী সচিব, মহা পরিদর্শক, নিবন্ধন শাখা ও সাব রেজিস্টার সদরকে।