মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজারে লকডাউন (Lockdown) চলাকালে চোরেরা গরু চুরি করে পিকআপ, মিনি ট্রাক, জীপ ইত্যাদি গাড়িতে তুলতো। চুরি করা গরু গুলোকে গাড়িতে তোলার সাথে সাথেই গরুর গায়ে পশু অজ্ঞান হওয়ার ইনজেকশন পুশ করে দিতো। সাথে সাথে গাড়িতে থাকা গরু গুলো অজ্ঞান হয়ে পরিবহনেই লুটিয়ে পড়তো। এরপর গাড়িতে বড়  ত্রিপল দিয়ে উপর ও পাশ থেকে মুড়িয়ে ভালোভাবে ঢেকে দিতো। মনে হতো যেন নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহনের গাড়ি। তখন সড়কে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা অত্যাবশ্যকীয় পণ্যে বহনকারী গাড়ি মনে করে চোরাই গরুর গাড়ি ছেড়ে দিতো। এভাবে চোরাই গরুর গাড়ি গুলো সড়কে পার পেয়ে যেতো। কারণ তখন অত্যাবশ্যকীয় পণ্যে বহনকারী গাড়ি না আটকানোর জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছিলো।

কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় আশংকাজনকভাবে গরু চুরি বন্ধ করার বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) থেকে জানতে চাইলে গত ২০ জুলাই তিনি এভাবে অভিনব পন্থায় চোরাই গরু পরিবহনের গল্প জানান।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে যারা ব্যবসা বাণিজ্য করেন, তাদের বেশির ভাগই বাইরের জেলার লোক। লকডাউন এর কারণে তারা যখন তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি ঘরে চলে যান, এ সুযোগে গরু চোর সিন্ডিকেট সক্রিয় বেশ হয়ে উঠে। ইতিমধ্যে এই গরু চোর সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদেরকে যে কোন মূল্যে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে তদন্ত ও সিন্ডিকেটের সকলে সতর্ক হয়ে যাওয়ার আশংকায় তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছেনা বলে উল্লেখ করে এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) বলেন, গত প্রায় ১৫ দিন ধরে এখন আর গরু চুরি হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছেনা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় তৎপরতার কারণে গরু চুরির সিন্ডিকেটের সদস্যরা এখন গা-ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে তিনি জানান।