আবদুল মজিদ, চকরিয়া:
চকরিয়ায় দিন দুপুরে পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম (৩৮)কে কুপিয়ে গুরুতর জখমের ঘটনায় অভিযুক্ত সন্ত্রাসী কফিল উদ্দিনসহ আসামীদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২১জুলাই সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া পৌর শহরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভকালে দলীয় নেতাকর্মী, আত্নীয়স্বজন ও শতশত শুভাকাঙ্খী অংশ গ্রহণ করে।
তারা কাউন্সিলর রেজাউলের উপর হামলাকারীদের আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।
বক্তারা বলেন- পৌরসভার উন্নয়নকাজ করতে গিয়ে একজন জনপ্রিয় কাউন্সিলরের উপর প্রাণে হত্যার চেষ্টায় হামলা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।
প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে সর্বস্তরের জনতা। মিছিলটি মহাসড়ক প্রদক্ষিন করে থানার সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সভায় মিলিত হয়।
উল্লেখ্য যে, গত শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে কাউন্সিলর রেজাউল করিম পৌরসভার উন্নয়নকাজ পরিদর্শন করে বাসায় ফেরার সময় চলাচল পথে বাদশা মিয়ার পুত্র সন্ত্রাসী কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে ধারালো কিরিচ দিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এসময় তাকে বাঁচাতে তার বড় ভাইয়ের ছেলে সাঈদী সাহেদ মিটু এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। ওইদিনই তাদেরকে ঢাকার পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ১৮জুলাই রেজাউলের সফল অস্ত্রোপাচার হয়। বর্তমানে চকরিয়ার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।
ইতিপূর্বে চকরিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে সড়ক ও ড্রেন নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান করে কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী।
চকরিয়া থানার ওসি মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন,কাউন্সিলর রেজাউল করিমের উপর হামলার ঘটনাঢ তার বড় ভাই কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।এ ঘটনায় হামলাকারী আসামী চকরিয়া পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ড হালকাকারা গ্রামের মো. বাদশা মিয়ার ছেলে কফিল উদ্দিন (৩৪) ও তার বড় ভাই শাহাব উদ্দিন (৩৮)সহ ৩জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কাউন্সিলর রেজাউলের উপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।