সাইফুল ইসলাম:
বাংলাদেশের যুবসমাজ ধ্বংসকারী ভয়ংকর এক মারণাস্ত্রের নাম মরণনেশা ইয়াবা। এই ইয়াবার থাবায় কপোকাত গোটা দেশ,দেশের যুবসমাজ ও ছাত্রসমাজ। কতিপয় ইয়াবা কারবারির দুই দফা আত্মসমর্পণ ও অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু মিছিলের অনেকে আজ স্বাক্ষী হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। তবে অল্প পুঁজিতে অধিক মুনাফা খোঁজা কিছু মানুষ এখনো আমাদের সমাজে রয়ে গেছে। যারা চায় না এই সমাজ কলুষিত মুক্ত হোক। বিপথগামী মানুষগুলো স্বাভাবিক জীবনে আসুক।যারা কিনা স্বাভাবিক মৃত্যুর চেয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে সদা প্রস্তুত! তাদের ইচ্ছা যেকোন উপায়ে টাকাওয়ালা হওয়া। এতে যুবসমাজ ও রাস্ট্রের ক্ষতি হলেও তাদের কী আসে যায়! এরা টাকার লোভে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে নিজের,পরিবারের,সমাজের ও রাস্ট্রের কতো বড় ক্ষতিসাধন করে যাচ্ছে সে বিষয়ে তাদের কোন ধরনের খেয়াল নাই।

করোনাকালেও থেমে নেই তাদের মরণঘাটি এই ব্যবসা। বড় আফসোস বৈশ্বিক মহামারী করোনা থেকেও তারা কোন শিক্ষা নিতে পারল না!এদের মধ্যে অনেকে আজ সমাজে সাধুর লেবাস ধরেছে। এরা ভদ্রতার মুখোশ ধারণ করে সুযোগ বোঝে অভয়লীলায় ইয়াবা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। তারা মনে করেছিল তাদের ব্যাপারে কেউ খোঁজ খবর রাখবে না। এটা ছিল তাদের ধারণাগত মহাভুল। বর্তমান সরকার যেখানে মাদকের ব্যাপারে সম্পূর্ণ জিরো টলারেন্স সেখানে পার পাবার কোন ধরনের সুযোগ নাই।

তারই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব এবিএম মাসুদ হোসেন মহোদয় ডিসেম্বরের মধ্যে এই জেলাকে মাদকমুক্ত জেলা করার ঘোষণা দিয়েছেন। সুতরাং তাঁর এই ঘোষণা থেকে বুঝে নিতে হবে যে,বাঁচতে হলে মাদক ছাড়তে হবে। না ছাড়লে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিনতি ভোগ করতে হবে।

যারা ইতিমধ্যে আত্মসমর্পণ করেছে এবং যারা অস্বাভাবিক মৃত্যকে বরণ করে নিয়েছে তাদের করুন পরিনতি ও তাদের পরিবারের ভয়াবহ অবস্থা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি। আসুন অন্ধকার জগৎ থেকে আলোর পথে ফিরে আসি। নিজে বাঁচি,সমাজকে বাঁচায়।

লেখকঃসাইফুল ইসলাম।