মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজারে কন্ট্রাক ট্রেসিং পদ্ধতিতে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যাপক সাফল্য আসায় চাঁদপুর জেলাতেও এ পদ্ধতি অনুসরণ করার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রী ও চাঁদপুরের নাগরিক ডা. দিপু মনি স্বয়ং IEDCR কর্তৃপক্ষের কাছে এ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। IEDCR এর বরাত দিয়ে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহজাহান নাজির এ তথ্য জানিয়েছেন।

কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় আগে করোনা রোগীর সংখ্যা ও অবস্থান এবং কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং এর পরে সংখ্যা ও অবস্থান নিয়ে IEDCR পৃথক ২ টি ম্যাপিং করে। ম্যাপিং এ দেখা যায়, কন্ট্রাক ট্রেসিং এর আগে কক্সবাজারে যে পরিমাণ করোনা আক্রান্ত রোগী ছিলো, কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং পরে করোনা রোগীর সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে।

এ প্রসঙ্গে ডা. শাহজাহান নাজির বলেন, কক্সবাজারে শুধু কন্টাক্ট ট্রেসিং করা হচ্ছে না, সাথে কন্টাক্ট ম্যানেজমেন্ট এবং নতুন রোগী ট্রেকিং ও টেস্টিং করে ট্রিটমেন্ট এর আওতায় আনা হচ্ছে। সাথে অসহায়, দুঃস্থ রোগীদের দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদাও মেটানো হচ্ছে। হত দরিদ্রদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক আইলোশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাই এই সমন্বিত পদ্ধতি শুধু কন্টাক্ট ট্রেসিং না, এটা ‘কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং প্লাস’। ডা. শাহজাহান নাজির এজন্য স্বেচ্ছাসেবকদের অভিনন্দন জানান। তার মতে উদ্বেগর বিষয় হলো-কক্সবাজার পৌরসভায় করোনা সংক্রমণ কমলেও উখিয়া এবং টেকনাফ উপজেলায় বাড়ছে।

এদিকে, সোমবার ২০ জুন কক্সবাজার সদরে যে ৯ জনের রিপোর্ট পজেটিভ পাওয়া গেছে, তারমধ্যে কক্সবাজার পৌরসভার ৬ জন, এনজিও কর্মী ২ জন ও ঈদগাহতে ১ জন। কক্সবাজার পৌরসভার পজেটিভ পাওয়া ৬ জনের মধ্যে ৩ জন কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং থেকে পাওয়া বলে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহজাহান নাজির জানিয়েছেন। সোমবার ২০ জুলাই টেস্টকৃত স্যাম্পল পজিটিভ রেট ছিলো ১০% এবং জনসংখ্যা হিসেবে লাখে ২ জন করে পজেটিভ।