সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, আধুনিক স্বনির্ভর জ্ঞাণ ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পাশা পাশি কর্মমুখি ও কারিগরী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রসারের লক্ষে জেলা শহর থেকে শুরু করে উপজেলা শহর পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষা প্রসারের সরকারের যে প্রয়াস, তার আলোকে কক্সবাজারের সেচ্ছা সেবী সংগঠন কক্সবাজার হিউম্যান রিসোর্স ডেবলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সিএইচআরডিএফ) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দক্ষ জনবল সৃষ্টির লক্ষে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে নিরবে নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫ হাজারেরও অধিক লোক সফলভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ বিভিন্ন এনজিও তে সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের বেকারত্ব হ্রাসের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
দক্ষ জনবল সৃষ্টির লক্ষে এই প্রতিষ্ঠে রয়েছে শক্তিশালী কর্মমুখি এডুকেশন প্রোগ্রাম যা উক্ত এলাকায় দক্ষ জনবল সৃষ্টির লক্ষে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে চলছে।
দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে সিএইচআরডিএফ এর দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত সেচ্চাসেবীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রন,দুর্যোগ প্রশমন প্রক্রিয়াকে অধিক বেশি ত্বরান্বিত করে তুলে একই সাথে খাবার এবং সুপেয় পানি সরবরাহ সহ তাদের পূর্নবাসন প্রক্রিয়ায় নিশ্চিত করণে বাসা বাড়ি নির্মান ও স্থায়ী টিউবওয়েল প্রদান এবং প্রতিনিয়ত সামাজিক কাজে অংশগ্রণ যেন এই সংগঠনের নৈমিত্তিক কাজ, দক্ষ জনবল তৈরি এবং সেচ্চাসেবী কাজ করার মাধ্যমে এই সংঘটন অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আছে।
অনাথ এবং পথ শিশুদের সুরক্ষা কল্পে চলমান রয়েছে পথ শিশু সুরক্ষা কর্মসূচি।
নিরবে নিভৃত্তে কাজ করে যাওয়া এই সেচ্চাসেবী সংগঠনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ১৯৯৪ সালে কিছু উৎসাহী মানুষের হাত ধরে প্রতিষ্টিত হয় ভার্সেটাইল ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, যা ২০১৪ সালে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় কক্সবাজার হিউম্যান রিসোর্স ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন। যেটি বর্তমানে কক্সবাজার ল্যাংগুয়েজ সেন্টারসহ ১৫ টি ল্যাংগুয়েজ সেন্টারের মাদার বডি হিসাবে পুরো কক্সবাজারে অত্যান্ত সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
আধুনিক স্বনির্ভর জ্ঞাণ ভিত্তিক সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠনে কর্ম মুখি শিক্ষায় শিক্ষিত এবং প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বিকল্প নাই।
মহিউদ্দিন বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি প্রশিক্ষণ মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় আর আত্মবিশ্বাস মানুষকে সফল হতে সহায়তা করে তাই সফলতা অর্জনে প্রশিক্ষণের বিকল্প নাই।
বাংলা ভাষা আমার প্রাণের ভাষা, মায়ের ভাষা যে ভাষায় আমরা সহজে কথা বলতে ও লিখতে পারি তবে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসাবে ইংরেজী ভাষায় কথা বলতে পারা ও লিখতে পারা একজন মানুষর দক্ষতা হিসাবে বিবেচিত হয়,যে দক্ষতা অর্জনে প্রয়োজন যথাযথ প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন।
ভাষা গত দক্ষতা অর্জন করতে পারলেই যে কেউ তার অন্যান্য দক্ষতা সফল ভাবে কর্ম ক্ষেত্র প্রয়োগ করার মাধ্যমে সফল হয়ে উঠতে পারে।
পর্যটন নগরী কক্সবাজার অসংখ্য হোটেল মোটেল সহ শত শত দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা সহ অসংখ্য এনজিও প্রতিষ্ঠান থাকায় কেউ তাদের সাথে কাজ ও চাকরি করতে কিংবা যোগাযোগ স্থাপনে প্রয়োজন ইংরেজী ভাষায় কথা বলতে ও লিখতে পারার দক্ষতা যাহা বর্তমানে একজন মানুষে দক্ষতা প্রমানের প্রথম ধাপ যে ধাপে ব্যর্থ হলে অন্যসব দক্ষতা প্রদর্শের সুযোহ নেহায়েত অমূলক।
বাংলাদেশের মত দ্রত অগ্রসরমান দেশে নিজেকে যোগ্য এবং যুগ উপযোগী করে তুলে নিজের মেধা ও দক্ষতাকে শানিত করে তুলার নিমিত্তে নিয়মিত আত্মউন্নয় মুলক প্রশিক্ষনের বিকল্প নাই।
হোক সেটা প্রযুক্তিগত কিংবা ভাষা শিক্ষার প্রশিক্ষণ।