২০ জুলাই সিবিএনসহ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত ‘নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী মাহবুবকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি’ শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদে উল্লেখিত অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্ভটও বটে।

প্রকৃত ঘটনা ঘটনা হচ্ছে, আমিও একজন সরকারি কর্মকর্তা। আমি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছি। নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী মাহবুবের সাথে আমার ব্যক্তিগত বা স্বার্থগত কোনো কোনা দ্ব›দ্ব নেই। তিনি আমার প্রতিবেশীও নয়। তার সাথে আমার ভালো মতো পরিচয়ও নেই। এমনকি দেখা-সাক্ষাৎও তেমন হয়নি। তার বাড়ি গর্জনিয়া বলে খোঁজ নিয়ে জেনেছি। তবে তিনি শহরের সিকদার বাজার এলাকায় একটি জায়গা ক্রয় করেছেন। সেখানেই আমাদের পৈত্রিক জায়গা রয়েছে। মাহবুবের সাথে আমার দ্ব›দ্ব না থাকলেও তিনি একটি দুরভিসন্ধি পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের পরিবারের সাথে দ্ব›েদ্ব জড়াতে চেষ্টা করছেন। তা হলো যেখানে তিনি জায়গা ক্রয় করেছেন সেখানে আমার বোন শাকেরা বেগম থাকেন। পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে আমরা ভাইদের সাথে বোন শাকেরা বেগমের দ্বন্দ্ব চলছে।

ভাগবাটোয়ারার নিয়ম না মেনে আমাদের বোন অন্যায়ভাবে, আমাদের পৈত্রিক জায়গা দখল করতে চেষ্টা করছে। বোন শাকেরাকে অন্যায়ভাবে জায়গা দখল করতে উস্কানি ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে মাহবুব। কারণ খোঁজ গিয়ে আমরা জানতে পেরেছি, আমাদের বোন শাকেরা বেগম আমাদের জায়গাটি দখল করতে পারলে তা কেনার টোপ দিয়েছে মাহবুব। সে মোতাবেক শাকেরা বেগমকে উস্কানি এবং আর্থিক ও বুদ্ধিগত সহযোগিতা করছে মাহবুব। মাহবুবের আস্কারা পেয়ে গত ২৩ জুন তারিখ শাকেরা বেগম অন্যায়ভাবে জায়গা দখল করতে আসে। এতে বাধা দেন আমার স্ত্রী ও ইন্টার পড়ুয়া পুত্র। এই ঘটনাকে সাজিয়ে আমার স্ত্রী ও কিশোর ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে শাকেরা বেগম। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, মামলাটি মাহবুবের আর্থিক সহযোগিতায় হয়েছে। তারপরও কাউন্সিলর সাহাব উদ্দীন সিকদারের মধ্যস্থতায় সালিশে বসার জন্য আমরা দুই পক্ষ সম্মত হয়েছি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে মাহবুব। তিনি আমার বোনকে সালিশে না বসতে উস্কানি দিচ্ছে। মাহবুব কেন বার বার আমাদের পারিবারিক বিষয়ে সমস্যা সৃষ্টি করছে তা নিয়ে আমরা চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। এই বিষয়ে তার পরিবারের কারো সহযোগিতা নেয়ার জন্য আমি তার বিস্তারিত পরিচয় জানতে চেষ্টা করি। সে খবর পায় মাহবুব। এই খবর পেয়ে সাথে সাথে তিনি আমাকে মোবাইলে কল করে তার পরিবারের কেন খোঁজ নিচ্ছি তা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করে। এই নিয়ে মোবাইলে দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে এটা আমি স্বীকার করছি। কিন্তু তিনি হত্যার হুমকির যে অভিযোগ করেছেন এ ধরণের কোনো কথা আমি বলিনি। উল্টো তিনিই তার ক্ষমতার কথা জানিয়ে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদর্শন করেছেন। এ কথা কাটাকাটির বিষয়টি সম্পূর্ণ অবগত রয়েছেন কাউন্সিলর ওমর ছিদ্দিক লালু। এই ঘটনায় নিজে ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে উল্টো মাহবুবই জিডি করেন এবং সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে।

আমি প্রকাশি এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। একই সাথে মাহবুবের এই মিথ্যা প্রপাগান্ডারও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এব্যাপারে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।

প্রতিবাদকারী
সৈয়দ আলম
সিনিয়র কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক।