সংবাদদাতা:
কক্সবাজার নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী মাহবুব আলমকে হত্যার হুমকি, সরকারি চাকুরি খাওয়া, তার পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দেয়া হয়েছে।

সৈয়দ আলম নামে এক ব্যক্তি ০১৮২২৫৩৭৮১৭ মোবাইল নাম্বার থেকে মুঠোফোনে হুমকি প্রদান করার অভিযোগ তুলে ১৯ জুলাই কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন মাহবুব আলম। যার নং-৯৩৪।

মাহবুব আলম রামুর গর্জনিয়া পূর্ব বোমাংখালীর আবদুর রাজ্জাকের ছেলে।

অভিযুক্ত সৈয়দ আলম কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রুমালিয়ারছরার গরুর হালদা সড়কের মৃত আমির হোসেনের ছেলে।

মাহবুব আলম জিডিতে উল্লেখ করেন, ১৮ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রতিবেশী জালাল আহমেদ বাচ্চু তাকে জানান, ছৈয়দ আলম নামের এক ব্যক্তি মুঠোফোনে তার বিস্তারিত পরিচয় জানতে চায়।

পরে মাহবুব ফোন করে ওই ব্যক্তির কাছে জানতে চান, তাকে কি প্রয়োজনে খোঁজতেছে? জবাবে মাহবুবকে খুন করবে, চাকুরি খাবে ইত্যাদি সুরে হুমকি দেয়। দুইপক্ষের কথার ২ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের মাথায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন মাহবুব আলম।

পরের দিন ১৯ জুলাই সকাল ১০ টার দিকে কক্সবাজার শহরের বাহারছরার মাহবুবেরে ভাড়া বাসায় গিয়ে খোঁজে দুই ব্যক্তি। তারা বাসার দ্বিতীয় তলায় উঠতে চাইলে বাড়িওয়ালা বারণ করেন এবং মাহবুব অফিসে চলে গেছেন; বাসায় নেই- বলে জানান।

সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে অফিসে গিয়ে সরাসরি ঘটনাটি মাহবুবকে জানান বাসার মালিক নাছির উদ্দিন।

দুই দফায় হুমকির পর থেকে মানসিকভাবে উদ্বিগ্ন ও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন মাহবুব আলম।

পরিবার ও জীবন বাঁচাতে জেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলেল হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মাহবুব আলম।

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, খবর নিয়ে জানা গেছে, হুমকিদাতা সৈয়দ আলম কৃর্ষি ব্যাংকের মহেশখালী শাখায় কর্মরত আছেন। সরকারী চাকুরি করেও সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছেন তিনি।

তবে, অভিযুক্ত সৈয়দ আলম কাউকে হুমকি দেন নি, বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন।