এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া:
দিনদুপুরে সন্ত্রাসী হামলার শিকার চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় কাউন্সিলর রেজাউল করিমের হাতে অস্ত্রোপচার সফলভাবে হয়েছে।

শনিবার রাজধানী ঢাকায় পদ্ম জেনারেল হাসপাতালে অপারেশন করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউন্সিলর রেজাউল করিমের চিকিৎসায় হাসপাতালে অবস্থানরত চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী।

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, সন্ত্রাসী হামলার শিকার চকরিয়া পৌরসভা ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনাব রেজাউল করিমের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। ডাক্তারদের নিয়মিত তদারকিতে তিনি আছেন। ডায়াবেটিস এর পরিমাণ সামান্য বেশি। ইনশাআল্লাহ দুই-একদিনের ভেতরে ডায়াবেটিস কন্ট্রোল চলে আসবে। শারীরিক যে দুর্বলতা আছে সেটাও কাটিয়ে উঠবে। ইনশাআল্লাহ আঘাতপ্রাপ্ত হাত ও আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে বলে ডাক্তাররা আশ্বস্থ করেছেন। সবাই কাউন্সিলর রেজাউল করিমের জন্য দোয়া করবেন।

আহত পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম পরিবার সুত্রে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে সম্প্রতি সময়ে সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছিলো। এই সড়ক নির্মান কাজে বাঁধা প্রদান করে আসছে স্থানীয় বাসিন্দা বিএনপির সহযোগি সংগঠন শ্রমিকদলের ক্যাডার কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী।

এক পর্যায়ে গত কয়েকদিন আগে কাউন্সিলর রেজাউল করিমের সাথে কফিল উদ্দিনের কথা কাটাকাটি হয়। এতে কফিল উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার (১৭ জুলাই) জুমার নামাজের পর বিকাল ৩টার দিকে কাউন্সিলর রেজাউল করিমের বাসায় ফেরার পথে ধারালো কিরিচ ও দা দিয়ে হামলা চালায় কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। এতে কাউন্সিলর রেজাউল করিমের একটি হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থা। এসময় রেজাউল করিমকে বাঁচাতে গিয়ে তার ভাইপো সাঈদী সাহেদ মিঠুর হাতের দুটি আঙ্গুলও কেটে যায়।

ঘটনার পরপর স্থানীয় লোকজন দুইজনকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া ইউনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুত্বর আহত কাউন্সিলর রেজাউল করিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে আহত কাউন্সিলর রেজাউল করিমের চিকিৎসায় প্রায় ৬ লাখ টাকার মতো খরচ হচ্ছে। ঘটনার দিন তাৎক্ষনিক চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম নগদ ২ লাখ টাকা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেজাউল করিমকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী দেন এক লাখ টাকা এবং হাসপাতালে উপস্থিত থেকে রেজাউল করিমের চিকিৎসায় নগদ ২০ হাজার টাকা অর্থসহায়তা দেন চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মো.ওয়ালিদ মিল্টন।