বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজারের কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ‘পেশকারপাড়ার ফরিদের নেতৃত্বে খালেক চেয়ারম্যানের স্থাপনা ভাঙচুর, প্রহরী আহত’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
সংবাদে তথ্য বিবর্জিত, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও একপেশে বক্তব্য ছাপানো হয়েছে। প্রতিবেদনে আমার কোন বক্তব্য নেওয়া হয়নি।
আমার জমিতে কেন রাতারাতি ঘেরাভেড়া দিয়েছে? জিজ্ঞেস করলে আব্দুল খালেক গায়ের জোরে কথা বলে। বেআইনিভাবে আমাকে দেখে নেয়ার, এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ব্রিজের সড়কের কাজ শেষ হলে অবশিষ্ট জমিও দখল করে নেবে বলে জানায়।
আমি আব্দুল খালেক চেয়ারম্যানের কোন স্থাপনা ভাঙচুর করে নি। আমার আরএস -১১৬৬ নং খতিয়ানভুক্ত জমির সীমানা ঠেলে রাতারাতি অবৈধভাবে নির্মিত ঘেরাবেড়া সরিয়ে দিয়েছি মাত্র।
বেআইনিভাবে নয়, স্থানীয় সচেতন জনতার সহায়তায় ঘোরাবেড়া সরিয়ে দিয়েছি।
সবাই অবগত অাছেন, আব্দুল খালেক তালিকাভুক্ত একজন দখলবাজ।
আনরেজিস্টার্ড, ভুয়া দলিল সৃজন করে পরের জমি দখল ও ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সে পৌরসভার নালা নর্দমা-ড্রেন দখল ও স্থাপনা করেছে। তার অবৈধ দখলবাজির কারণে পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা বেড়ে চলছে।
আইনবিরোধী ও পরিবেশ বিধ্বংসী কাজের কারণে আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা রয়েছে।
অবৈধ জবর দখলের বিষয়ে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এখনো দখলবাজি অব্যাহত রেখেছে কক্সবাজার শহরের বহু বিতর্কিত এই ব্যক্তি।
তার এসব অপকর্মের বিষয়ে বিভিন্ন সময় রিপোর্টও করেছে গণমাধ্যমকর্মীরা।
আমার নিজের জমি রক্ষা করতে গিয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে সংবাদ করানো খুবই দুঃখজনক।
প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।
পরিবেশ ধ্বংস করে স্থাপনা কারি আব্দুল খালেক এর বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক পরিবেশ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টদের বিনীত অনুরোধ করছি।

ফরিদুল আলম
পেশকার পাড়া, কক্সবাজার পৌরসভা।