ওসমান আবির :
টেকনাফ পৌরসভায় করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মাঠে প্রশাসনের কঠোর তৎপরতা থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলছে অনেকেই।মার্কেট, হাট-বাজার, দোকানপাট গুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটার নির্দেশনা মানছে না অধিকাংশ মানুষ।

ক্রেতা-বিক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে করছে বেচাকেনা।এমনকি পৌর শহরে বিভিন্ন যানবাহনে যাত্রী চালকের মাঝে নেই সামাজিক দূরত্বতা, নেই কোন মাস্ক।বাজারের দোকানগুলোতে সামাজিক দুরত্বতা বজায় না রেখে ক্রেতারা কেনাকাটায় ব্যস্ত।স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলার নির্দেশনা থাকলেও অনেক দোকানদার তা মানছে না।দোকানগুলোতে ক্রেতাদের গা ঘেষাঘেষি করে কেনাকাটা করতে দেখা যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।করোনা দুর্যোগের শুরু থেকে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কঠোর তৎপরতায় মানুষ নিয়ন্ত্রণে ছিল।

উপজেলা প্রশাসনের জারি করা দীর্ঘ ২১ দিনের লকডাউন গত ২৮ জুন শেষ হয়।এরপর লকডাউন শিথিল হওয়ায় মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জনসমাগম আরও বৃদ্ধি পেলে করোনার আশঙ্কা বেড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।

এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সিবিএনকে বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।প্রশাসনের তৎপরতা থাকা সত্ত্বেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।