সিবিএন ডেস্ক:
আসন্ন ঈদুল আজহায় গণপরিবহন চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সংসদ ভবনের সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিওবার্তায় তিনি এ তথ্য জানান। এর ফলে ঈদে গণপরিবহন চলাচল নিয়ে যে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছিল তার অবসান ঘটলো।

এর আগে ১৪ জুলাই সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকে ঈদের পর তিন দিন পর্যন্ত, অর্থাৎ মোট ৯ দিন গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে বুধবার দুপুরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ওই বিজ্ঞপ্তির কারণে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। ঈদের সময় গণপরিবহন চলবে বলেও জানান তিনি। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার এ বিষয়টি স্পষ্ট করলেন।

ভিডিও বার্তায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঈদে গণপরিবহন চলাচল নিয়ে একটি ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আমি বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই। আসন্ন ঈদুল আজহায় দেশব্যাপী গণপরিবহন চলাচল করবে। তবে প্রতিবছরের ঈদযাত্রার মতো ভারী পরিবহন তিন দিন আগে বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে জরুরি সার্ভিস ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য যেমন পচনশীল দ্রব্য, ওষুধ, গার্মেন্টস সামগ্রী, পশুপাখি গাড়ি এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এ বিষয়ে বিআরটিএ গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিস্তারিত জানাবে।’

ওবায়দুল কাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদযাত্রায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান। না হলে ঈদের আনন্দ অচিরেই বিষাদের রূপ নিতে পারে বলে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, ‘কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা সংক্রমণের মাত্রা উঁচু ঝুঁকিতে পৌঁছে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আসুন আমরা সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার নির্দেশনাগুলো প্রতিপালন করি। নিজেদের সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। আমরা ঘরে অবস্থান করি, যার যার কর্মস্থলে অবস্থান করি। এটাই সবার কাছে প্রত্যাশা।’

এর আগে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় ঈদুল ফিতরের সময় গণপরিবহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেছিল সরকার। কিন্তু নানা অজুহাতে ও বিভিন্ন উপায়ে ঢাকা ছাড়ছিল মানুষ। পরে পুলিশ এই অবস্থান থেকে সরে আসে। গণপরিবহন বন্ধ রাখলেও ব্যক্তিগত পরিবহন ব্যবহার করে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।

করোনা সংক্রমণ এড়াতে গত ২৬ মার্চ থেকে দুই মাসের বেশি সময় সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। ১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।