ফরিদুল আলম দেওয়ান, মহেশখালী:
গত ৬ জুলাই যখন ঢাকা রিজেন্ট হাসপাতালে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছিল তখন মহেশখালীর মাতারবাড়ি দ্বীপেই ছিলেন মহাপ্রতারক মোহাম্মদ সাহেদ। এখানে তার পূর্ব পরিচিত বন্ধুদের সহযোগিতায় একটি সাইক্লোন সেন্টারে ৩ দিন পার করেন।
তিনি চকরিয়া থেকে মহেশখালী সেতু পার হয়ে দেশের বৃহত্তম মেগা প্রকল্প মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিলেন।
সাহেদের পরিকল্পনা ছিল, মহেশখালী দ্বীপ থেকে ট্রলারযোগে পানি পথে বঙ্গোপসাগর দিয়ে খুলনা বা সাতক্ষিরা হয়ে দেশ ত্যাগ করে ভারতে ঢুকবেন।
কিন্তু মহেশখালী দ্বীপ থেকে সরাসরি সাতক্ষিরার কোন নৌ-যানের ব্যবস্থা করতে না পারায় ব্যর্থ মনোরথে ফিরে যান।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত ইকবাল মুরাদ জানান, মাতারবাড়ীতে ঢাকা কেন্দ্রীক বিভিন্ন ঠিকাদারি সংস্থা কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ নিয়ে ব্যবসা করছে। হয়তো সাহেদের সাথে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প কেন্দ্রীক কোন সিন্ডিকেটের সাথে পূর্ব থেকেই যোগাযোগ ছিল।
সেই সুত্র ধরে পূর্বসম্পর্কের লোকজনের সহায়তায় মাতারবাড়ীর কোন সাইক্লোন সেল্টারে অবস্থান নিতে পারে।
এ ব্যাপারে গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে সাহেদের মহেশখালী অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য জানা যাবে, এমনটি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এদিকে, মহেশখালী থেকে সাগর পথে সীমান্ত এলাকায় যেতে ব্যর্থ হয়ে সাহেদ চলে যান কুমিল্লার মীরা বাজারে।
১২ জুলাই ঢাকার গুলশানে ছিলেন। তাতে নিরাপদ মনে না করায় চলে যান সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকায়। সেখানে গিয়ে দালালদের মাধ্যমে ভারতে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকেন।
এরমধ্যেই বুধবার ভোরে র‍্যাবের গোয়েন্দার জালে আটকা পড়েন বিশ্বপ্রতারক সাহেদ।