মোহাম্মদ ইব্রাহিম, উখিয়া :
উখিয়ার বনবিভাগের কর্তা ব্যক্তিদের বৃদ্ধাগুলি প্রদর্শন করে রুমখাঁ বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠিত অবৈধ স’মিলের বিকট শব্দ ও রমরমা বাণিজ্যের ফলে লোকালয়ের শান্ত পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠেছে। এঘটনা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলেও কোন কাজ হয়নি। উপরোন্তু অবৈধ স’মিল মালিকদের আচরণ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী রুমখাঁ বাজারপাড়া গ্রামবাসীর অভিযোগ রুমখাঁ বাজারটি এক কালে উখিয়া উপজেলার দৃশ্যমান হাটবাজার হিসাবে খ্যাত ছিল।

কালের আবর্তে ও অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ে এ বাজারটি এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখানে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি অবৈধ স’মিল। স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষে শামশুল আলম, গিয়াস উদ্দিন ও রিয়াজুল হক সহ একাধিক পরিবারের কর্তা ব্যক্তি সাংবাদিকদের অভিযোগ করে জানান, এসব স’মিলে হাজার হাজার ঘনফুট অবৈধ কাঠ নিয়মিত মজুদ থাকে।

নিয়মিত সকাল সন্ধ্যা কাঠ চিরাইয়ের ফলে স’মিলের বিকট শব্দ স্থানীয় বাসিন্দাদের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কেজি স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখা মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা জানান, বিভিন্ন দপ্তরে উক্ত স’মিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় স’মিল মালিক পাইন্যাশিয়ার মোস্তাক আহমদ (৩৫), রুমখাঁ বাজারপাড়ার মোবারক হোসেন (৩২) হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। এমনকি তাদের ভয়ভীতিকর হুমকির তোপের মুখে পড়ে প্রতিবেশী বাজারপাড়ার জনসাধারণের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছে স’মিল বাণিজ্য অব্যাহত রাখার জন্য প্রয়োজন বশত: অভিযোগকারীদের বাজার থেকে বিতাড়িত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামানের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, অবৈধ স’মিল মালিকদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত গঠন করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উখিয়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা তরিকুর রহমান অবৈধ স’মিলের বিরুদ্ধে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্থানীয় দালাল চক্রের কারণে স’মিল গুলো উচ্ছেদ করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি বলেন, বন রেঞ্জ এসব অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ করার প্রস্তুতি নেওয়ার আগেই স’মিল কতৃৃপক্ষ খবর পেয়ে যায়। যে কারণে যথাযথ অভিযোগ বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না। কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ মোঃ নাজমুল হুদা জানান, অবৈধ স’মিলের বিরুদ্ধে তিনি একটি অভিযোগ পেয়েছেন। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।