মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

লামা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর-এ-জান্নাত রুমী এবং তাঁর স্বামী বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ওমর ফারুক রুবেলের মধ্যে পারিবারিক ভুল বুঝাবুঝির অবসান হয়েছে। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম এর মধ্যস্থতায় এই সমস্যার প্রাথমিক সমাধান হয়েছে বলে জানা গেছে।

বান্দরবানের লামা’র ইউএনও নুর-এ-জান্নাত রুমী এবং তাঁর স্বামী বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ওমর ফারুক রুবেলকে গত ১৩ জুলাই রাত্রে বান্দরবান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম তাঁর সরকারি বাংলোতে ডেকে নিয়ে দীর্ঘক্ষন তাঁদেরকে বুঝান। পরে উভয়ে ভূলবুঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে পুণরায় সংসার করতে প্রাথমিকভাবে সম্মত হন। বিশ্বস্ত সুত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

লামা’র ইউএনও নুর-এ-জান্নাত রুমী বিসিএস (প্রশাসন) ৩০ তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। অপরদিকে, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ওমর ফারুক রুবেল কক্সবাজার শহরের প্রভাতী স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক বুলবুল এ জান্নাত এবং জাফর আলম দিদার এর পুত্র। এ দু’জনের মাঝে পারিবারিক বিষয় নিয়ে চরম ভুল বুঝাবুঝি চলে গত এক সপ্তাহ ধরে। যা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় ব্যাপকভাবে।

এরমাঝে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ১২ জুন লামা’র ইউএনও নুর-এ-জান্নাত রুমীকে লামা’র ইউএনও এর পদ থেকে প্রত্যাহার করে রংপুর বিভাগের যেকোন উপজেলার ইউএনও হিসাবে পদায়ন করার জন্য তাঁর চাকুরী রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ন্যাস্ত করা হয়। রুমী ও রুবেল দম্পতির নাসিউল আলম রাহিব নামক তিন বছরের ফুটফুটে বুকজুড়ানো এক পুত্র সন্তান রয়েছে।