মোঃ ফারুক, পেকুয়া:

কক্সবাজারের পেকুয়ায় সুষ্ঠু তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে করিমদাদ মিয়া ঘাটের একমাত্র যাত্রী ছাউনি। এই সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল দ্বারা ইট লোহা খুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উজানটিয়া ইউনিয়নের করিমদাদ মিয়ার ঘাটে অবস্থিত এ যাত্রী ছাউনিটির দুই ভিত্তি স্তম্ভ নদী ভাঙনের কারনে ইতোমধ্যে নদীগর্ভে চলে গেছে। মূল কাঠামো কোনরকম নদীর তীর ঘেষে দাঁড়িয়ে আছে। যা যেকোনো মূহুর্তে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

স্থানীয় বাসিন্দা শিমুল, সাবেক ইউপি সদস্য এহেসান জানান, ১৯৮৭ সালে জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে করিমদাদ মিয়া ঘাট সংলগ্ন এ যাত্রী ছাউনিটি স্থাপিত হয়। পেকুয়া উপজেলার সাথে পাশ্ববর্তী উপকূলীয় এলাকা বদরখালী, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম করিমদাদ মিয়া ঘাট। এই নৌপথে প্রতিদিন কয়েক শতাধিক মানুষ চলাচল করার কারনে এ যাত্রী ছাউনির উপযোগিতা অধিক। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন অবহেলার ফলে যাত্রী ছাউনিটি নদী গর্ভে বিলীন হবার উপক্রম দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় রাজনীতিবিদ রেজাউল করিম চৌধুরী মিন্টু বলেন, যাত্রী ছাউনিটি নদী পারাপার করা যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নৌকার জন্য অপেক্ষারত মানুষ সেখানে বসে সময় কাটায়। এটি বিলীন হয়ে গেলে যাত্রীদের দূর্ভোগে পড়তে হবে।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছেন, ভেঙ্গে পড়া যাত্রী ছাউনিটি থেকে ফেরাসিঙা পাড়ার বাসিন্দা মো. মনু মিয়া প্রভাব খাটিয়ে লোহা ও ইট খুলে নিয়ে যাচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জেলা পরিষদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এ যাত্রী ছাউনি সরকারি সম্পত্তি। এই স্থাপনা কেউ কুক্ষিগত করতে চাওয়াটা হবে অপরাধের নামান্তর। অভিযোগের বিষয়টি থানা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম।

পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল আলম বলেন, এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিলীন হওয়ার বিষয়ে আমরা অবগত ছিলাম না। শীঘ্রই একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে পাঠানো হবে। ইট লোহা খুলে নেওয়ার অভিযোগের বিষয়টা তদন্তের আওতাভুক্ত করা হবে বলে জানান প্রকৌশলী জাহেদুল।