মোস্তফা কামাল, ডুলাহাজারা:
বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালীতে একটি বন্য হাতির পাল ধান, সবজি ও অাঁখ ক্ষেতে হানা দিয়ে এক কৃষকের বিপুল পরিমাণ ফসল খেয়ে ও পায়ে মাড়িয়ে ব্যাপক বিনষ্ট করেছে। এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ওই কৃষক এখন অসহায় হয়ে পড়েছে।
গত বুধবার (৮ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড বড় ছনখোলা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনার খবর পেয়ে পরদিন সকালে স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ বেলাল উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বড় ছনখোলা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ শরিফের পুত্র রশিদ অাহমদ জানান, মৌসুমের শুরুতে তার বাড়ির পাশে ১ একর ২০ শতক জমিতে ভালো ফসলের অাশায় বেসরকারি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ওই জমিতে ধানসহ বিভিন্ন সবজি ও অাঁখ চাষ করেছেন। নানা প্রতিকুলতায় পরিচর্চার ফলে ক্ষেতও সবুজের সমাহার হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বিধিবাম ! ঘটনার দিন রাত অানমানিক ৩ টার দিকে ৮ -১০টি বুনো হাতির একটি পাল তার নতুন ধান ক্ষেতের বীজ তলা ও সবজি এবং অাঁখ ক্ষেতে হানা দিয়ে তান্ডব চালায়। এসময় ক্ষেত রক্ষায় তার শো চিৎকারে অাশপাশের লোকজন এগিয়েগিয়ে এসে হাতি তাড়ালেও ততক্ষণে হাতির পাল ধান চারা, সবজি ও বিপুল পরিমাণ অাঁখ ক্ষেত খেয়ে ও পায়ে মাড়িয়ে বিনষ্ট করে ফেলে। এতে তার প্রায় দেড়লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে দাবী করা হচ্ছে। সেই সাথে ফসল নিয়ে তার দেখা স্বপ্নও ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাকের হোসেন মজুমদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত তিনি বলেন, ইউনিয়নের বড় ছনখোলা এলাকায় রশিদ অাহমদ নামের এক কৃষকের ফসলে একটি বন্য হাতির পাল তান্ডব চালিয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও স্থানীয়রা অামাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে ওই কৃষকের যদি বেশি ক্ষতিসাধন হয়েথাকে, তবে তাকে সরকারি ভাবে অার্থিক সুবিধা পায়মতো সহযোগিতা করা হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
