গত ৬ জুলাই কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত “ভয়েস ওয়ার্ল্ড ২৪” নামক অনলাইন নিউজ পোর্টালে “কক্সবাজারে আত্মগোপনে আলোচিত তিন সন্ত্রাসী” শিরোনামে উল্লেখিত সংবাদের দ্বিমত পোষণ করলেন “হাসান ওরফে গুরু হাসানের” পরিবার। উক্ত সংবাদের বরাত দিয়ে হাসানের বাবা বিশিষ্ট সমাজ সেবক বয়োবৃদ্ধ নাজির হোসেন বলেন, মার্জিত জীবনেই আমার দীর্ঘ পথ অতিক্রম। আচার-আচরণ এবং শিক্ষা-দীক্ষায় ও তেমনি ভাবে গড়ে তুলেছি আমার প্রতিটি সন্তান কে। যথাসাধ্য পড়াশোনা করানোর পর প্রতিটি সন্তানকে নিজ নিজ ব্যবসায় জড়িত করিয়েছি। সুখে-দুঃখে সুন্দরতম চলছিল সকলের পারিবারিক দৈনন্দিন জীবন।

জীবনের এই পথে চলতে গিয়ে অর্জন করে ছিলাম সর্বস্তরের জনগণের সুনাম। অব্যাহত রেখেছিলাম সেই দ্বারাটুকু সন্তানের বেড়ে উঠার প্রতি। চলন সম্মত দৌলতেই জীবন জীবিকা নির্বাহ তাতেই জড়িয়ে আছে আমার পাঁচ সন্তান। জীবন চলার এই গতিতে বিগত ২০১৭ সালে কুচক্রী মহলের ভুল তথ্যে বিনা অপরাধে কক্সবাজার শহরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য পারভেজ হত্যা মামলায় জড়ানো হয় আমার ছোট ছেলে হাসানের নাম।

মামলায় জড়ানো হলেও বাবা হিসেবে জানতে চাইলে সন্তানের প্রতি আমার প্রশ্নে ছেলে উত্তর দেয় তিনি সম্পুর্ন নির্দোষ। তবুও বলি তৎকালীন উক্ত মামলায় দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে হয়তোবা কুচক্রী মহল ভুল পথে ধাবিত করেছিলো।কিন্তু বিচক্ষণ প্রশাসনের দল হত্যায় সরাসরি জড়িত প্রধান আসামিদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে। যেজন্য পুলিশ বাহিনীকে অবশ্যই ধন্যবাদ দেয়া উচিত এবং আটকদের অনেকেই ১৬৪ ধারা মতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।তাতেও কেউ হাসানের নাম বলেনি।

যা-ই হোক আইনের প্রতি আমি এবং আমার পরিবারের সবাই শ্রদ্ধাশীল। বারবার আমার সন্তানকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে চাইলেও কুচক্রী মহলের ভীতিকর নানা তথ্যে পিছপা হতে বাধ্য হয়। উক্ত ঘটনার পর থেকে নিজ মালিকানাধীন হোটেল ব্যবসা বাদ দিয়ে বিভিন্ন টিকা দারী প্রতিষ্ঠানের হয়ে চাকুরী করে আসলেও অব্যাহত রয়েছে আমার ছেলের বিরুদ্ধে নানান অপপ্রচার। তার-ই ধারাবাহিকতায় গত ৬ জুলাই “ভয়েস ওয়ার্ল্ড ২৪” নামক অনলাইন নিউজ পোর্টালে কক্সবাজারে আত্নগোপন তিন সন্ত্রাসী নামক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে অন্যান্য চিহ্নিত অপরাধীর সাথে  হাসানকে জড়িয়ে বহুপ্রকার মিথ্যার প্রলেপ লাগানোর চেষ্টা করা হয়।

সংবাদকর্মীদের মিথ্যা তথ্য প্রদান করে ঢালাওভাবে সংবাদ প্রকাশ করে  হাসানকে বানানো হয় এই শহরের চিহ্নিত চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী,এবং নানান সন্ত্রাসের হোতা। যদিও হাসান দীর্ঘ তিনটি বছর এই জেলার বাহিরে ছিলো। তাই উক্ত সংবাদের প্রতি আমি খুবই মর্মাহত এবং সংবাদটির জন্য আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ  সকলের প্রতি কোন প্রকার বিভ্রান্তি না হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
হাসান ওরফে গুরু হাসানের পক্ষে-
মোঃ নাজির হোসেন (পিতা)
দক্ষিণ ঘোনার পাড়া। ৯ নং ওয়ার্ড কক্সবাজার।